সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেল ঝাল হোক কিংবা সরষে ইলিশ (Hilsa Fish)। রুপোলি শস্যের নাম শুনলেই জিভে জল আসে খাদ্যরসিক বাঙালি। এবছর খাদ্যরসিকরা ভেবেছিলেন মার্চ থেকে টানা লকডাউনের জেরে নদী পরিষ্কার। দেখা নেই শিকারীদের। তার ফলে বর্ষার দিনে বাজারে বেশ ভালই বিকোবে ইলিশ। কিন্তু সে গুড়ে বালি। স্বপ্ন দেখার আগেই যেন ঘুম ভেঙে গেল। পরিবর্তে বাজারে জোগান সামান্য ইলিশের। জোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে দাম। বাজারের ব্যাগ হাতে ইলিশ পেট চাপে নাড়াচাড়া সত্ত্বেও শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত গৃহস্থকে।
তবে ভেঙে পড়বেন না। রসনাতৃপ্তি আপনার হল বলে! ভোজনরসিক বাঙালিকে সুখবরও দিল রাজ্য সরকার। এবার ‘সুফল বাংলা’র (Sufal Bangla) স্টলেই মিলবে রুপোলি শস্য। জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে একপ্রস্থ পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষি ও উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকটি স্টলেই যাতে ইলিশ বিক্রি করা সম্ভব হয়, সে চেষ্টাই করা হচ্ছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: ‘পৌষমেলার মাঠে দেহব্যবসা হয়’, বিতর্কিত বিবৃতির জেরে নিশানায় বিশ্বভারতী]
মূলত গ্রামবাংলার কৃষকদের থেকে সরাসরি সবজি, মাছ কিনে এই স্টলগুলিতে বিক্রি করা হয়। তার ফলে বাজারের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে সবজি বিক্রি করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি স্টলেই দামের তালিকা এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের জিনিসপত্র ওজন করা হয়। করোনা আবহে হিট ‘সুফল বাংলা’। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির আগে রোজ গড়ে ৬-৭ লক্ষ টাকার সবজি ‘সুফল বাংলা’র স্টল থেকে বিক্রি হত। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০-২১ লক্ষ টাকা। লকডাউনের মধ্যে এই প্রকল্প ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই ধরণের স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যে স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এবার ওই স্টল থেকে মিলবে সস্তায় ইলিশও।
[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, বুধবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বাংলা]
The post ভোজনরসিকদের জন্য সুখবর, রাজ্যের উদ্যোগে এবার সস্তায় ‘সুফল বাংলা’র স্টলেই মিলবে ইলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.