সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতে রপ্তানির জের। বাংলাদেশে (Bangladesh) লাফিয়ে বাড়ছে ইলিশের দাম। ফলে ভাপাই হোক বা বেগুনের সঙ্গে অমৃতসম ঝোল, ভোজনবিলাসীদের পাতে রুপোলি শস্যের পদের বাহার অনেকটাই ম্লান।
[আরও পড়ুন: বাংলাকে পুজোর উপহার হাসিনার, কয়েক হাজার মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ]
জানা গিয়েছে, এবার আগের তুলনায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। দেশে ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার নামে পরিচিত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছবাজারেও বেড়েছে ইলিশের আমদানি। মঙ্গল ও বুধবার এ বাজারে ইলিশ এসেছে প্রায় দুই হাজার মণ। কিন্তু দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় ইলিশের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে এই প্রসঙ্গে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় আচারের অংশ হিসেবে সীমিত পরিমাণে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, এটি বাণিজ্যিকভাবে নয়।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ জানান, গত বছর একই সময়ে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। তবে এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, খুচরা বাজারে ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের প্রতি কেজি ৬২৫ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৯২৫ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১০৫০ টাকা এবং এক কেজির ওপরের ইলিশ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে এখানকার বাজারে দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে। দুর্গাপুজো উপলক্ষে ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এই কারণে বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, পুরো মাসের হয়তো ২৫ দিন বাজারে ইলিশ কম এসেছে, কিন্তু মাসের বাকি পাঁচদিনে যে পরিমাণ ইলিশ আসবে তা পুরো মাসের চাহিদা পূরণ করবে। ইলিশের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়। কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, “এখন ইলিশের ভরা মরশুম। তাই জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। পুরো অক্টোবর এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করি।”