সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধজয়ের হাসি, শব্দ দুটি বহুল প্রচরিত। কিন্তু শুধু কি হাসিতেই যুদ্ধজয়ের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হয়? নাকি কখনও কখনও এক ফোটা চোখের জলও বুঝিয়ে দেয়, কঠোর পরিশ্রমের ফল মেলার তৃপ্তি কতটা। আনন্দের আতিশয্য কখনও বাধ ভাঙে চোখের জলের মধ্যে দিয়েও। জেদ, আর অদম্য পরিশ্রম যখন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেয় তখন আবেগে ভেসে যাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। ঠিক যেমনটা হয়েছিল হিমা দাসের। ১৮ বছরের মেয়েটির কঠিন লড়াই যে আজ শুধু তাঁকে নয় গোটা দেশকে গর্বিত করেছে, আর সেকথা আন্দাজ করতে পেরেই হয়তো অনুর্ধ্ব-২০ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার মঞ্চে উঠে জাতীয় সংগীতের সুর কান্না বাধ মানেনি তাঁর। চোখের কোণে নেমে এসেছে এক ফোটা জল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে হিমার নজিরবিহীন কীর্তি তো গোটা দেশকে গর্বিত করেইছে, তাঁর ওই একফোটা চোখের জলের মধ্যেও দেশপ্রেমের অনন্য নজির খুঁজে পাচ্ছেন নেটিজেনরা। হিমার সেই কান্নার ভিডিও এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। একের পর এক টুইট-রিটুইটে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ভিডিওটি।
[অবসরের দিনেও কাইফের মুখে লর্ডসের স্মৃতি, বিদায়বেলায় নস্ট্যালজিক ক্রিকেটমহল]
[কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ, কী চাইছেন টলি সুন্দরীরা?]
হিমার ওই একফোটা চোখের জলে রয়েছে দেশপ্রেমের অনুপম নিদর্শন। সাফল্যের মঞ্চে চোখের জলই প্রমাণ করে দেশকে কতটা ভালবাসেন আঠারোর তরুণী, বলছে নেটিজেনরা। হিমার দেশপ্রেমের প্রমাণ অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছিল। সোনা জেতার পর সবার প্রথম গ্যালারির দিকে ছুটে গিয়েছিলেন কোচের কাছে, একটি তেরঙ্গা হাতে তুলে নিতে। তাঁর পর জয়ের যত সেলিব্রেশন সব ওই জাতীয় পতাকারই সঙ্গে। হিমার এই দেশপ্রেমের নজিরকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একটু টুইটে বলেছেন, হিমা দাস আমাদের অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। যেভাবে জয়ের পর ও জাতীয় পতাকা খুঁজছিল তাতে আমি অভিভূত। জাতীয় সংগীতের সময় ওঁর কান্না দেখলে কোন ভারতীয়র চোখে জল আসবে না?
The post সেরার শিরোপা নেওয়ার মঞ্চে চোখে জল হিমার, আবেগে ভাসছে নেটদুনিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.