সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচলে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে কংগ্রেসের। সেরাজ্যে হাত শিবিরের অন্তত জনা ছ’য়েক নেতানেত্রী মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন। কংগ্রেসের সৌভাগ্য বলা যেতে পারে, যে এই ছ’জনের মধ্যে তিনজন নিজেদের কেন্দ্রে হেরে গিয়েছেন। তবে বাকি তিনজন মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য প্রবলভাবে নিজেদের দাবি পেশ করছেন হাই কম্যান্ডের কাছে। সেটাই এই মুহূর্তে কংগ্রেসের মাথাব্যাথার সবচেয়ে বড় কারণ।
আসন সংখ্যা ৪০ ছুঁয়ে ফেলায় হিমাচল নিয়ে এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এখনই ‘অপারেশন লোটাসে’র (Operation Lotus) চেষ্টা করলেও সাফল্য পাবে না বিজেপি। তাই প্রথমে দলের বিধায়কদের ভিনরাজ্যে সরানোর পরিকল্পনা থাকলেও পরে তা বাতিল করে কংগ্রেস। শিমলাতেই দলের সদর দপ্তরে আজ সব বিধায়ককে তলব করা হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার পর শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রীর নাম চুড়ান্ত করা হতে পারে। এআইসিসির তিন পর্যবেক্ষক ভুপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel), দীপেন্দ্র সিং হুডা এবং রাজীব শুক্লাও (Rajeev Shukla) আজ দুপুরে শিমলা যাবেন।
[আরও পড়ুন: স্রেফ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ প্রায় ১০ লক্ষ! সংসদে স্বীকার করল মোদি সরকার]
এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যারা প্রবলভাবে রয়েছেন তাঁরা হলেন বর্তমান রাজ্য সভানেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভন্দ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিং। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা জয়ী বিধায়ক সুখবিন্দর সিং সুখু এবং বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী (Mukesh Agnihotri)। এই তিনজনই হিমাচলে জয়ের অন্যতম কারিগর। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এখন তিনজনকে ভেবেই নতুন ফর্মুলা তৈরির চেষ্টা করছে। এমনভাবে ক্ষমতার বিন্যাস তৈরি করতে চাইছে যাতে তিন শিবিরকেই খুশি করা যায়। আসলে বীরভদ্র সিংয়ের প্রয়াণের পর হিমাচল কংগ্রেসে একচ্ছত্র কোনও নেতা অবশিষ্ট নেই। যার জেরে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সেই সব গোষ্ঠীকে একত্রিত রাখাই আপাতত কংগ্রেসের (Congress) চ্যালেঞ্জ।
[আরও পড়ুন: চাপে পড়ে সুমতি! হিন্দির মতোই অন্য আঞ্চলিক ভাষাতেও উচ্চশিক্ষায় জোর কেন্দ্রের]
এদিকে গুজরাটে ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল বিজেপি। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভুপেন্দ্র প্যাটেলই ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসবেন। বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবারই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন প্যাটেল। উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।