সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু এবং মুসলিম জনসংখ্যার ভারসাম্য কমে যাচ্ছে অসমে। তার জেরে সমস্যার মুখে পড়ছে অসমের হিন্দুরা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর মতে, রাজ্যের বহু জেলায় দ্রুত পালটে যাচ্ছে জনবিন্যাস। তার জেরে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন অসমের আদি বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময়ে ভাষণ দেন হিমন্ত। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একটা সময়ে অসমে হিন্দু জনসংখ্যা ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ছিল। কিন্তু সেটা কমে ৫৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।" হিমন্তের মতে, জনসংখ্যার এমন তারতম্যের জেরে অসমের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। তাই সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়কে হিমন্তের কড়া বার্তা, ফ্যামিলি প্ল্যানিং নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে সকলকে।
[আরও পড়ুন: ১০ বছরে প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা, রাহুলের জন্য বরাদ্দ পিছনের আসন]
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার অসমের জনবিন্যাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হিমন্ত। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “১৯৫১ সালে অসমের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ ছিল মুসলিম। সেটা বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বহু জেলা আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। এটা আমার জন্য রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এটা জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার।” বস্তুত অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে হিমন্তর উদ্বেগ নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, “একটা নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ যেভাবে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে, সেটা যথেষ্ট উদ্বেগের।”
অসমে ক্রমশ হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে, সেটার প্রমাণ রয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানেই। এর একটা বড় কারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। অভিযোগ, সীমান্তের ওপার থেকে বহু বাংলাদেশি মুসলিম এপারে এসে বেআইনিভাবে এদেশের নথি তৈরি করে এদেশেই বসবাস শুরু করেছেন। যার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বাড়ছে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা। সেটা নিয়েই উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন হিমন্ত। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও ফের তাঁর মুখে শোনা গেল এই উদ্বেগের কথা।