সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের জনবিন্যাসে বদল এবং মুসলিম জনসংখ্যায় বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার জন্য জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার।' হিমন্ত বলছেন, এটা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। গভীরভাবে চিন্তার বিষয়।
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "১৯৫১ সালে অসমের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ ছিল মুসলিম। সেটা বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বহু জেলা আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। এটা আমার জন্য রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এটা জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার।" বস্তুত অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে হিমন্তর উদ্বেগ নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, "একটা নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ যেভাবে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে, সেটা যথেষ্ট উদ্বেগের।"
[আরও পড়ুন: কেজরির জামিন মামলা, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রসঙ্গ তুলে সরব আইনজীবী]
বস্তুত অসমে ক্রমশ হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে, সেটার প্রমাণ রয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানেই। এর একটা বড় কারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। অভিযোগ, সীমান্তের ওপার থেকে বহু বাংলাদেশি মুসলিম এপারে এসে বেআইনিভাবে এদেশের নথি তৈরি করে এদেশেই বসবাস শুরু করেছেন। যার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বাড়ছে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা। সেটা নিয়েই উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন হিমন্ত।
[আরও পড়ুন: ভোট বিপর্যয়ের জেরে মুষল পর্ব উত্তরপ্রদেশ বিজেপিতে! যোগীর সঙ্গে ‘দূরত্ব’ ডেপুটি কেশব মৌর্যর]
কিন্তু প্রশ্ন হল, একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানের এভাবে নির্দিষ্ট ধর্মের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা কতটা শোভনীয়? বিরোধীরা ইতিমধ্যেই মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছেন। তবে হিমন্তর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ একেবারেই নতুন নয়। এর আগে বহুবার 'মুসলিম বিরোধী' মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বস্তুত বিজেপির হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়' হয়ে উঠেছেন তিনি।