সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে এক জনসভায় 'বিভাজনমূলক' মন্তব্য করেছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটের তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন হিমন্ত।
ঠিক কী বলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? গত ১ নভেম্বরের জনসভায় বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''ওরা এক জায়গাতেই ভোট দেবে। আর আমাদের হিন্দুরা কেউ এখানে কেউ ওখানে ভোট দেবে।'' তিনি আরও বলেন, ''এই রাজ্যের সরকার এক বিশেষ সম্প্রদায়ের অনুপ্রবেশকারীদের আমন্ত্রণ করে, কেননা তারা ওদের ভোট দেয়।'' নাম না করলেও তিনি যে মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুলতে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা।
এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ইন্ডিয়া জোটের তরফে ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, 'উনি মুসলিম সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে বিভাজনমূলক ও ঘৃণা উদ্রেককারী মন্তব্য করেছেন।' তাঁর ব্যবহৃত ভাষা 'বিষাক্ত' বলেও তোপ দাগা হয়েছে। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগানোর চেষ্টা করেছেন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।
এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা মন্তব্য করেছেন, ''আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন? কী বলেছি আমি? অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কথা বললে ওদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে কেন? কোন আইনে লেখা আছে যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না? হিন্দুদের নিয়ে কথা বলা মানেই কিন্তু মুসলিমদের আক্রমণ করা নয়। আমি তো 'মুসলিম' শব্দটা উচ্চারণই করিনি। ভারত একটি হিন্দু সভ্যতা। আর তাদের রক্ষা করতে চাওয়া একটি সদর্থক প্রয়াস।''
আর মাত্র কয়েকদিন পরই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ ও ২০ নভেম্বর দুই দফায় ৮১ জন প্রার্থীর ভাগ্যবিচার হবে। ফলাফল ২৩ নভেম্বর। তার আগেই হিমন্তর মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপি-ইন্ডিয়া বিতর্ক তুঙ্গে।