সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীদের উত্থান চরমে। খালেদা জিয়ার আমলে জামাত-এ-ইসলামি’র জায়গায় শেখ হাসিনার আমলে দখল করেছে হেফাজতে ইসলাম। আর মৌলবাদীদের নিশানায় রয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা। এহেন সময়ে ফের প্রকাশ্যে এসেছে দেশটিতে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা।
[আরও পড়ুন: ভারতে মাদক পাচারের জাল বিছানোর ছক! গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার ৮ পাক পাচারকারী]
জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি হিন্দু পরিবারকে ইসলাম না মানলে দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌরসদরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের প্রেমতলা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। তারপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে একই এলাকায় আরও দুই হিন্দু পরিবারকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্রেমতলা এলাকার বাসিন্দা ও চন্দ্রনাথ ধাম মহাতীর্থের লোকনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক মৃদুল অধিকারীর ঘরের দরজার ফাঁকে মঙ্গলবার রাতের কোনও এক সময় আরবি ও বাংলায় লেখা একটি চিরকুট রেখে যায় অজ্ঞাতরা। বুধবার সকালে তিনি ঘরের দরজা খোলার সময় চিঠিটি দেখতে পান। পরে তিনি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারাধন চৌধুরীকে ঘটনাটি জানিয়ে চিঠিটি দিয়ে আসেন। একই সময়ে আরও দু’টি হিন্দু ভাড়াটিয়া পরিবারও এরকম চিঠি পাওয়ার কথা জানান কাউন্সিলরকে। এরপর কাউন্সিলর হারাধন চৌধুরী তাঁর ফেসবুক পেজে চিরকুটটির ছবি-সহ পোস্ট করে লেখেন, “ধর্ম যাঁর রাষ্ট্র সবার। তাহলে এসব কেন?”। এই ঘটনায় মৃদুল অধিকারী বলেন, তাকে ইসলাম গ্রহণ করতে অথবা দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে অসৎ উদ্দেশে কোনও চক্র এমন কাজ করেছে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার টাকাটুকিয়া গ্রামে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বর্মন সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় বুধবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সত্যেন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এজাহারে অজ্ঞাত আসামি হিসাবে আরও ১০-১২ জনের কথা উল্লখ করা হয়েছে। মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামি শহিদ মিয়া ও সিরাজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে তাহিরপুর থানার পুলিশ। তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আবদুল লতিফ তরফদার বলেন, শিগগিরই সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।