shono
Advertisement

Breaking News

‘BBC বিপজ্জনক, নিষিদ্ধ করা হোক’, দিল্লিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দপ্তরের সামনে পোস্টার হিন্দু সেনার

বিবিসির তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।
Posted: 03:55 PM Jan 29, 2023Updated: 06:46 PM Jan 29, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কিত বিবিসির তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু সেনার সমর্থকরা নয়াদিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে অবস্থিত বিবিসির দপ্তরের সামনে পোস্টার লাগিয়ে দাবি তুলল নিষিদ্ধ করা হোক বিবিসিকে। তাদের দাবি, বিবিসি দেশের ঐক্যভঙ্গ করতেই এমন তথ্যচিত্র বানিয়েছে।

Advertisement

কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলটির প্রধান বিষ্ণু গুপ্তা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”বিবিসি এই দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক। বিবিসিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে ‘এমার্জেন্সি’র সময় ১৯৭৫ সালে ভারতে বিবিসিকে (BBC) নিষিদ্ধ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এবার ফের বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলল হিন্দু সেনা।

[আরও পড়ুন: ‘পাণ্ডবরা তাদের আত্মীয়দের নির্বাচন করেনি’, প্রতিবেশী পাকিস্তান সম্পর্কে বিস্ফোরক জয়শংকর]

এদিকে একটি ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, লন্ডনে নাকি সাধারণ মানুষ বিবিসির সদর দপ্তরের সামনে মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রটির বিরোধিতা করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। যদিও ছড়িয়ে পড়ার পরই জানা যায় ভিডিওটির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা পুরনো ভিডিও। করোনা টিকার বিরুদ্ধে ওই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেটাকেই চালানো হচ্ছে মোদির তথ্যচিত্রের বিরোধিতার মিছিল বলে। তবে পরে একটি ভিডিও-ও দেখা গিয়েছে। সেখানে প্রবাসী ভারতীয়দের সত্য়িই দেখা গিয়েছে বিবিসির সদর দপ্তরে বিক্ষোভ দেখাতে। 

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে মুক্তি পায় বিবিসির তথ্যচিত্র। প্রথম পর্বে দাবি করা হয়েছিল, গুজরাট হিংসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর, এমনটাও দাবি করা হয়। দ্বিতীয় পর্বেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তথ্যচিত্রে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোমাংস খাওয়া নিয়ে মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বিজেপি সরকার।
এই প্রসঙ্গে সরকারের দাবি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এই ডকু ফিচারটি আসলে ভারত বিরোধী এবং ভারতকে বদনাম করার চেষ্টা। ভারত সরকার এই তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এমনকী ইউটিউবেও এটি পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও ঘুরপথে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের চেষ্টা হলে কেন্দ্র সেটাকে কড়া হাতে দমন করছে।

[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগরকে, কেন প্রত্যাখ্যান করেন তিনি?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement