সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে নিজেদের জন্য আলাদা ইস্তেহার প্রকাশ করলেন ব্রিটেনের ১০ লক্ষ হিন্দু নাগরিক। বিশ্লেষকদের মতে, ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে হিন্দু ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। দেশের অধিকাংশ সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে হারবেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জয় পাবে ব্রিটেনের লেবার পার্টি। তার মধ্যেই প্রথমবার নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হলেন ব্রিটিশ হিন্দুরা।
২০২১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, ১০ লক্ষ হিন্দু নাগরিক রয়েছেন ব্রিটেনে (Britain)। হিন্দুরাই সেদেশের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সুনাকও একাধিকবার নিজেকে গর্বিত হিন্দু বলে দাবি করেছেন। মন্দিরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার সারতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ব্রিটেনের নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে হিন্দু ভোট। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলই হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে প্রচারের সময়ে।
[আরও পড়ুন: ‘রাশিয়ার সঙ্গে কোনও আপস নয়’, আমেরিকার মাটি থেকে সাফ বার্তা ইউক্রেনের]
এহেন পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছে ব্রিটেনের ২৯টি হিন্দু সংগঠন। সাত দফা দাবি নিয়ে তারা প্রকাশ করেছে বিশেষ নির্বাচনী ইস্তেহার। হিন্দুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধকে ধর্মীয় অপরাধ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে ওই ইস্তেহারে। সেখানে বলা হয়েছে, সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে ব্রিটেনজুড়ে হিন্দুফোবিয়া। তার জেরে হিংসার শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। লস্কর-ই-তইবার মতো একাধিক সংগঠন ব্রিটেনে হিন্দুবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে 'দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো ইউকে ২০২৪'তে।
এই প্রথমবার নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ করেছেন ব্রিটিশ হিন্দুরা। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটানোর নেপথ্যে বেশ কিছু ব্রিটিশ সংস্থার হাত রয়েছে বলেও ওই ইস্তেহারে দাবি করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হিন্দু ভোট আদায়ে সচেষ্ট কনজারভেটিভ-লেবার দুই শিবিরই। মন্দিরে গিয়ে সুনাকের (Rishi Sunak) পাশাপাশি প্রচার সেরেছেন লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কের স্টার্মার। একাধিকবার ভারতবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে লেবার পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু হিন্দু মন জয় করতে সেই নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট লেবার পার্টি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিও চাইছে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে কার দিকে যাবে হিন্দু ভোট, নজর ওয়াকিবহাল মহলের।