সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেশপুরে ভোটপ্রচারের ফাঁকে আট বছর ধরে নিঁখোজ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন সম্প্রতি হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সেই পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে বিরোধী শিবির তৃণমূলকে তোপ দাগতে গিয়ে নিজেই ট্রোল হলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী। যা কিনা বর্তমানে সোশাল মিডিয়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল। 'ভাষা হারিয়ে' কেশপুরে কটাক্ষের মুখে পড়তেই দেদার ট্রোল-মিম নিয়ে মুখ খুললেন হিরণ।
দিন দুয়েক ধরেই নেটপাড়ায় ব্যাপক গতিতে ভাইরাল এক ভিডিও। কেশপুরের বিশ্বনাথপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আজকে এসেছি কেশপুরে। আমি জানি না কী ভাষায় বলব! আমার মনের মধ্যে কোনও ভাষা নেই।...’ তাঁর এই কথার রেশ শেষ হচে না হতেই পাশ থেকে সেখানকার এক বয়স্ক আচমকাই বলে ওঠেন, ‘বাংলা ভাষাতেই কথা বলেন না।’ আর হিরণের ভিডিওর সেই অংশটুকু নিয়েই তোলপাড় সোশাল মিডিয়া। ছড়িয়ে পড়েছে নানা মিমও। নেটিজেনদের একাংশ তো বলেই ফেলেছেন, ‘কাকা রকড, হিরণ শকড!’ অনেকে ওই ব্যক্তির রসবোধের প্রশংসাও করেছেন। এবার এপ্রসঙ্গেই মুখ খুললেন হিরণ।
বুধবার সোশাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির তারকা প্রার্থী লেখেন, "একটি শহিদ পরিবারে গিয়েছিলাম, সবার চোখে জল! খুনের ঘটনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। এই নিষ্পাপ সহজ-সরল কেশপুর গ্রামের মানুষকে নিয়ে যারা ট্রোলিং করেন, তাদের হয়ে আমি এই শহিদ পরিবারের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।" শুধু তাই নয়, তৃণমূলের মনুষ্যত্ববোধ নেই বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির তারকা প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, প্রচারের ফাঁকে ভোটারদের মন জিততে কোনওরকম কসরত বাকি রাখছেন না হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ভোট বড় বালাই! প্রচারের ময়দানে আমজনতার মন জয় করতে কখনও তাঁদের হেঁশেলে ঢুকে খুন্তি নাড়া, কখনও থলি হাতে সবজি বাজারে ঢুঁ দেওয়া থেকে শুরু করে আবার কখনও প্রতিপক্ষ দেবকে টেক্কা দিতে ফুটবলও খেলতে দেখা গিয়েছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থীকে দেখা গিয়েছিল কাঠফাটা গরমে কৃষকদের সঙ্গে খেতে কাজ করতেও।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনেই ‘পারিয়া’র সিক্যুয়েলের ঘোষণা তথাগতর, এল বিবৃতির শুভেচ্ছাও]
ঘাটালের পিচে ভোটপ্রচারের মাঝে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ‘গরম সংলাপ’ মাঝেমধ্যেই নেটপাড়া কাঁপাচ্ছে। দেব-হিরণ কেউ কাউকে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ! লাগাতার দেবকে আক্রমণ করায় এর আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে শোকজও পেয়েছিলেন হিরণ। আগামী ২৫ মে ঘাটালের ভোটবাক্সে দুই মহারথীর মহারণ। শেষ হাসি কে হাসবে? সেটাই দেখার অপেক্ষায় দেব-হিরণের অনুরাগীরা।