সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় এলে জাতিগত জনগণনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এতদিন জাতি সমীক্ষার দাবিকে সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও ভোটের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে গুরুত্ব দিতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছে মোদি সরকার। মণ্ডল কমিশনের ‘পুরনো কাসুন্দি’ টেনে এনে কংগ্রেসকে (Congress) খোঁচা দিচ্ছে বিজেপি(BJP)।
মধ্যপ্রদেশের সভা থেকে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলছেন, যে কংগ্রেস ওবিসিদের নিয়ে এত নাকি কান্না কাঁদছে, তারা কোনওদিনই ভাবেনি অনগ্রসরদের কথা। মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টকে এই কংগ্রেসই দীর্ঘদিন চেপে রেখেছিল। অনগ্রসরদের দমিয়ে রাখা হয়েছিল। শাহর প্রশ্ন, এতই যখন ওবিসিদের প্রতি দরদ তাহলে এতদিন মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট চেপে রেখেছিলেন কেন?
[আরও পড়ুন: প্রায় সাড়ে এগারো কোটি নাগরিকের প্যান কার্ড বাতিল করল কেন্দ্র, আপনারটা নেই তো?]
নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বিহারে জাতিগত জনগণনা করানোর পর থেকেই বিষয়টি জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের সব জনসভাতেই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী জাতিগত জনগণনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বস্তুত পাঁচ রাজ্যের ভোট এবং আগামী লোকসভায় কংগ্রেসের প্রধান এজেন্ডাই হতে চলেছে এই জাতিগত জনগণনা।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের নিষ্ঠুর ছবি গাজায়, অন্ধকার হাসপাতালে মৃত্যুর মুখে ৪৫ শিশু!]
শাহর বক্তব্য, কংগ্রেসের ওবিসি প্রীতি ভোটের জন্যই। এই নরেন্দ্র মোদির সরকারই ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে। মোদি মন্ত্রিসভার ৩৫ মন্ত্রী ওবিসি। এই সরকারই সাংবিধানিক অধিকার দিয়েছে ওবিসিদের। শাহ ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাতিগত জনগণনার দাবিও গুরুত্ব দিয়ে ভাববে সরকার।