বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘নো মানি ফর টেরর’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মলনের শেষদিনে সমাপ্তি ভাষণে নাম না করেই একযোগে চিন ও পাকিস্তানের দিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Home Minister Amit Shah)। দু’-দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের ৭২টি দেশের প্রতিনিধি হাজির থাকলেও ছিল না চিন ও পাকিস্তান। আয়োজক দেশ হিসাবে ভারত, সম্মেলনে পাকিস্তানকে (Pakistan) আমন্ত্রণ না জানালেও চিনকে জানিয়েছিল। কিন্তু তারাও কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি।
ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মূল চক্রী যে পাকিস্তানই সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের (Pakistan) সমর্থনে বারবারই এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে চিনকে। এদিন শাহ দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেই বলেন, “কিছু দেশ, তাদের সরকার ও এজেন্সিগুলি সন্ত্রাসকে তাদের জাতীয় নীতিতে পরিণত করেছে। আবার কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদ এবং যারা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয় তাদের বারবার সমর্থন করে থাকে। ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বিশ্বশান্তির জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ। যে কোনও মূল্যে আমাদের এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে হবে। কোনও একটি দেশ বা সংগঠন তা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে একা হারাতে পারবে না। তাই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মেঙ্গালুরুতে নাশকতার ছক, জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণে উড়ল অটো]
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্ত্রাসের জন্য অর্থের জোগান বন্ধ হওয়া খুবই জরুরি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত লাগাতার পদক্ষেপ করছে। সম্প্রতি, সামাজিক কার্যকলাপের আড়ালে, একটি সংগঠন যা যুবকদের উগ্রবাদী করার ষড়যন্ত্র করছে এবং তাদের সন্ত্রাসবাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি দেশের উচিত এই ধরনের সন্ত্রাস ছড়ানো সংগঠনগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।”
সম্প্রতি বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ইউএপিএ-তে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-কে পাঁচবছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। এমনকী, দেশে নিষিদ্ধ ৪২টি জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় পিএফআইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।