সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: HMPV-তে এখনও পর্যন্ত দেশে সংক্রমিত ৩। বেঙ্গালুরুতে ২। আহমেদাবাদে ১। শিশুরাই আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়াও হয়েছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্থাস্থ্য সংস্থা আইসিএমআরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এইচএমপিভি বিশ্বময় ছড়িয়ে রয়েছে। যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু সদ্য অতীতের করোনা আতঙ্কের জলছাপ জনমানসে। আর তাই সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #Lockdown!
গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের ভয়ংকর দিনগুলির কথা মনে করাচ্ছে নয়া হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। তবে নয়া ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে কেবল ছোটদের। বেঙ্গালুরুতে HMPV-তে আক্রান্ত হয়েছে দুই মাস এবং আট মাস বয়সি দুই শিশুর। অন্যদিকে গুজরাটের আহমেদাবাদের এক শিশু হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে এদেশে করোনার শুরুর দিনগুলির সঙ্গে সাদৃশ্য খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কেননা সেবারও চিনে শুরু হয়েছে সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। তার মধ্যে ভারতও ছিল। এবার চিনে HMPV ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। হাসপাতালগুলিতে লম্বা লাইনের কথাও জানা যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে একই ভাইরাসের দেখা এদেশে মেলার পর থেকেই ফিরেছে আতঙ্ক। যদিও এদেশে সন্ধান মেলা ভাইরাসগুলি চিনা প্রজাতির নয়, তবুও অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন, হয়তো এবার এখানেও হু হু করে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আর তাই তা নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে। ঠিক যেমন করোনার সময় হয়েছিল। গোটা দেশজুড়ে সেই দীর্ঘকালীন স্থবিরতার দুঃস্বপ্ন ভিড় করে আসছে সাধারণ জনতার মনে। তারই ফলশ্রুতি 'লকডাউন'-এর ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠা।
অথচ আইসিএমআর বিবৃতি পেশ করে জানিয়েছিল, ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব দেখা গিয়েছে সারা বিশ্বে। এর মধ্যে ভারতও রয়েছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও বলছেন, ''আমাদের প্যানিক বাটনটা অন করাই উচিত নয়। কেননা এইচএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। এটা ইতিমধ্যেই রয়েছে। বলা হচ্ছে, এই প্রথম ভারতে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছে কেউ, তা ঠিক নয়। এইচএমপিভির অস্তিত্ব ইতিমধ্যেই রয়েছে।''