সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপাবলি হোক দিওয়ালি, উৎসবের আনন্দ সবার। তার আগেই আবার আছে ধনতেরাস(Dhanteras 2024)। অনেকেই এ সময় সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে সোনা কেনেন। সোনা কেনার পিছনে নানারকম মিথ আছে। কিন্তু সে সব পেরিয়ে আজকাল যেন এটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। দাম যতই হোক, অনেকেই এই মরশুমে কমবেশি সোনা কেনেন। কিন্তু গয়না কেনার সময় কয়েকটা জিনিস মাথায় না রাখলে ঠকে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
অনেকেই পাথর বসানো গয়না কেনেন। কিন্তু কোনও দোকানে পুরোটারই ওজন করে সোনার দামে বিক্রি করা হয়। না জেনে অনেকেই এই ফাঁদে পা দেন। এই গয়নাই ফিরতি বিক্রি করতে গেলে কিন্তু পাথর ছাড়া শুধু সোনার মূল্যই ফিরিয়ে দেবেন দোকানি। আসলে পাথর সমেত গয়নার বিলিং পদ্ধতি আলাদা। তাই এরকম গয়না কেনার সময় অবশ্যই নজরে রাখুন কীভাবে বিল করা হচ্ছে।
সোনার বিশুদ্ধতা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ভোগেন। সোনা বিভিন্ন Karat-এর হয়। Carat-এর নয়। দ্বিতীয়টি হল হিরে পরিমাপের একক। সোনার নয়। সাধারণত 24KT সোনা হল খাঁটি সোনা। কিন্তু তা এত নরম যে তা দিয়ে গয়না তৈরি করা যায় না। 22KT সোনা দিয়েই বেশিরভাগ গয়না তৈরি হয়। এতে সোনার পরিমাণ থাকে অন্তত ৯১.৬ শতাংশ। সোনার রং দেখেই চেনা যায় কোন সোনা কতটা খাঁটি। হোয়াইট গোল্ড, ইয়েলো গোল্ড ও রোজ গোল্ডের ফারাক তাই জেনে রাখা জরুরি। বিভিন্ন ধাতুর মিশ্রণে সোনার রংয়ের পরিবর্তন হয়। তাই দোকানির ব্যাখ্যার আগে নিজে এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন।
সোনার দাম নির্ভর করে দুটি বিষয়ের উপর- কত Karat-এর সোনা, আর তাতে কোন ধাতু কতটা মেশানো আছে। খাঁটি সোনার যা দাম তা প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণের দাম, খাঁটি সোনার দামের তিন শতাংশের বেশি সাধারণত হয় না। এবার কত সোনা ব্যবহার হচ্ছে তা হিসেব করে সহজেই এই দাম নির্ধারণ করা যায়। তবে আমদানির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দোকানে সোনার গয়নার দামের হেরফের হয়। কিন্তু ফারাক কখনওই খুব বেশি মাত্রার হয় না। এর সঙ্গে যুক্ত হয় মেকিং চার্জ ও জিএসটি। মজুরি সাধারণত স্বর্ণকারদের হিসেব অনুযায়ী আলাদা হয়।
সোনার শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য অবশ্যই ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের হলমার্ক দেখে নেওয়া জরুরি। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ফিটনেস নম্বর দেয় বিআইএস। সেগুলো মাথায় রাখা দরকার। এর পাশাপাশি সোনার গয়না কেনার সময় এক্সচেঞ্জ অফার ও সঠিক বিলিং পদ্ধতির উপর নজর দিতেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।