সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট মশা। কখন, কীভাবে যে আক্রমণ করে বসে, কেই-ই বা বলতে পারে? এক কামড়েই কাত আট থেকে আশি। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ রোগ। এর থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায়? অস্বাস্থ্যকর মশার ওষুধ বা মশা তাড়ানোর মেশিন মোটেও কাজের কথা নয়। তার চেয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখুন।
সূর্যাস্তের আগে থেকেই দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখুন। পুরোপুরি অন্ধকার হওয়ার পর দরজা জানলা খুলতে পারেন। অথবা জানলায় জাল/নেট লাগিয়ে রাখুন। তাহলে জানলা খোলা থাকলে মশা প্রবেশ করতে পারবে না। প্রয়োজনে দরজাতেও এই জাল লাগিয়ে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত দরজা থাকলে ভালো। মেন দরজা খুলে এই জাল দেওয়া দরজা বন্ধ রাখলে হাওয়াও আসবে, মশা প্রবেশও রোধ হবে।
ঘরের উঠোনে তুলসী গাছ শুধুমাত্র ধার্মিক কারণেই রাখা হয় না। এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক উপকারের যুক্তি। তুলসীর গন্ধ নাকি মশাদের একদম সহ্য হয় না। তা ছাড়া এই গাছে ঔষধি গুণ তো রয়েইছে। শীতের এই সময় গরম চায়ের মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে খেলেও উপকার।
রসুনও মশা তাড়াতে ভীষণ কার্যকর। কয়েক কোয়া রসুন থেতলে জলে সিদ্ধ করে নিন। তার পর সেই জল ঘরের চারদিকে ছিটিয়ে দিন। ঘরের ভিতরে আর কোনও মশা প্রবেশ করবে না।
সিট্রোনেলা অয়েল যা সাইট্রোনেলা গাছের নির্যাস থেকে তৈরি। এই জিনিসটি ঘরে, গায়ে কিংবা জামা কাপড়ে লাগিয়ে রাখলে মশা আসে না। ভেপারাইজার মেশিনে নারকেল তেল, নিমতেল, ইউক্যালিপ্টাস তেল, সিট্রোনেলা তেল, লবঙ্গের তেল মিশিয়ে সেটা জ্বালালে উপকার। মেশিনের উপরে যে ছিদ্র তাতে কর্পূর রেখে দিন, মশা দূরে পালাবে।
এছাড়াও সন্ধ্যাবেলা ঘরে ধুনোর ধোঁয়া দিতে পারেন, নারকেল ছোবড়া আর ধুনো মিশিয়ে জ্বালালে তা শরীরের ক্ষতি করে না আর মশাও তাড়ায়। রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমান। এর চেয়ে সহজ ও নিরাপদ আর কিছুই নয়।
তথ্য: সংগৃহীত