শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আলিপুরদুয়ারের পর এবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। গত সপ্তাহে সিভিক ভলান্টিয়ারদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে আলিপুরদুয়ারে কর্তব্যরত এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবার জলপাইগুড়ি পুলিশের আতসকাঁচের তলায় এক হোম গার্ড। পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ-লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দেবাশিস দেবনাথ নামে এক হোম গার্ডের বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন সময় জলপাইগুড়ি র বিভাগীয় কমিশনার এবং পুলিশের ডিআইজি অফিসে কর্তব্যরত ছিল এই অভিযুক্ত। সেই পরিচয় ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক বেকার যুবকের কাছ থেকে ৫-৭ লক্ষ টাকা করে তুলেছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে হোম গার্ড দেবাশিস দেবনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার নর্থবেঙ্গল সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস। অভিযোগ দায়ের হতেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত হোম গার্ড। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ আমলে নাম চিড়িয়ামোড়, বদলের প্রস্তাব দিলেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী]
অভিযোগকারী নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পুলিশে চাকরি দেবে বলে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙার রামঠেংঙ্গা গ্রামের বেকার যুবকদের থেকে ৭ লক্ষ টাকা করে নেন অভিযুক্ত। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল তাদের ভুয়ো চাকরির নিয়োগপত্রও দেন। কিন্তু তার পরেও চাকরি না হওয়ায় ময়নাগুড়ির পান বাড়ি এলাকায় দেবাশিসের বাড়িতেও যায় তারা। কিন্তু কোনও ভাবেই টাকা আদায় না হওয়ায় সমাজকর্মী নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাসের দারস্থ হন। নারায়ণবাবু অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত হোম গার্ড। তার খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি রাজগঞ্জ থানার কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠায় তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সুপার খন্ড বহালে উমেশ গনপত জানিয়েছেন।