সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় রীতিমতো ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সেকেন্ড-ইন -কমান্ড অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকে তাঁর দেখা মিলছিল না। এক বছর পর ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ সফরে শাহ। শিলিগুড়ির জনসভায় বক্তব্য রাখলেন তিনি। আর সেখান থেকে বার্তা দিলেন দলীয় কর্মীদের। আর সে কথা বলতে গিয়ে বলে বসলেন,”ভয় পাবেন না। মমতাদিদির অত্যাচার তো কম, কেরল থেকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে এর চেয়ে বেশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি আমরা।”
একইসঙ্গে শাহ-বচনে উঠে এল বগটুই-হাঁসখালি প্রসঙ্গ। প্রতিশ্রুতি দিলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন, জিটিএ নির্বাচন নিয়েও। আর কী কী বললেন অমিত শাহ?
[আরও পড়ুন: এবার কি মহিলা রাষ্ট্রপতি চাইছে বিজেপি? দৌড়ে দুই রাজ্যপাল]
- মমতা বদলাননি: বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছে মমতাদিদি। ভেবেছিলাম, তৃতীয়বার ক্ষমতা ফিরে হয়তো শুধরে যাবেন। কিন্তু এবারও শুধরোলেন না। বাংলায় এখনও কাটমানি, তোলাবাজি, গুণ্ডামি চলছেই। এক বছর সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু কিছুই বদল হল না।
- বাংলায় স্বৈরাচার: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, বাংলায় আইনের শাসন নেই। স্বৈরাচার চলছে। যে দল ক্ষমতায় রয়েছে তাদের ইচ্ছেয় সবটা হয়।
- দলীয় কর্মীদের বার্তা: ভয় পাবেন না। মমতাদিদির অত্যাচার তো কম, কেরল থেকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে এর চেয়ে বেশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি আমরা। বাংলায় যতক্ষণ না গণতন্ত্র ফিরছে, ততক্ষণ লড়াই চালিয়ে যাবে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ঘুচবে অভাবের দিন, সন্তোষে খেলা বাংলার দুই ফুটবলারকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
- প্রতিনিধি দল তরজা: দেশে যে প্রান্তে যা হয়, সেখানেই প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন দিদি। কিন্তু নিজের রাজ্যে কিছু হলে, কেন তথ্য অনুসন্ধানকারী দল পাঠাচ্ছেন না দিদি?
- বগটুই-হাঁসখালি কাণ্ড: বীরভূমের বগটুইতে তো মহিলা-শিশুদের জীবন্ত জ্বালিয়ে মারা হয়েছে। নদিয়ায় ধর্ষণ করা হয়েছে। তার পরেও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি দল সেখানে যায়নি।
- বিদ্যুৎ- পেট্রলের দাম: দেশের মধ্যে বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে বেশি বাংলায়। এ রাজ্যে বাংলায় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ১১৫ টাকা। বিজেপিশাসিত কোনও রাজ্যে পেট্রলের দাম এত বেশি নয়। এখানে দিদি তো পেট্রল থেকে মোটা টাকা কর নেন।
- বাংলা কাঙাল: বাংলাকে আরও কাঙাল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৭ সালে দেশের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল এ রাজ্যের। এখন কোথায় দাঁড়িয়েছে বাংলা? ২০১১ থেকে কত গুন বেড়েছে বাংলার ঋণ?
- CAA কার্যকর: অনেকে বলছেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে না। কিন্তি আমি আজ ফের বলে যাচ্ছি, করোনার ঢেউ মিটলেই CAA কার্যকর হবে।
- GTA নির্বাচন: গোর্খাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। আপনারা জেনে রাখুন, গোর্খাদের মঙ্গলের জন্য একমাত্র আমরাই ভাবি। সংবিধান মেনে যা যা করা সম্ভব তাই করা হবে। দিদি জেনে রাখুন, জিটিএ নির্বাচন করে গোর্খাদের সমস্যার সমাধান হবে না।