সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত অব্যাহত। ক’দিন আগেই তৃতীয় দফায় অরুণাচলের বেশ কিছু অঞ্চলের চিনা নাম প্রকাশ করেছে বেজিং (Bejing)। যার পর পালটা সরব হয়েছে ভারত। উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই আগামী ১০-১১ এপ্রিল অরুণাচল সফর করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দু’দিনের সফরে চিন সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে শাহ’র। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে একাধিক সীমান্ত রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির উন্নতিকল্পে “ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম”-এ ৪,৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ২,৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে সড়ক উন্নয়নে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৫-২৬ দুই পর্বে প্রকল্প রূপায়ণের সময়সীমা ধার্য হয়েছে। এই সূত্রেই অরুণাচল, সিকিম, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের ১৯টি জেলার ৪৬টি ব্লকের ২৯৬৭টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত চিন সীমান্ত সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই কেন্দ্রের লক্ষ্য। সেই সূত্রেই অমিত শাহ’র অরুণাচল সফর।
[আরও পড়ুন: নৃশংস, বাড়িতে ঢুকে দলিত যুবতীকে ধর্ষণ করে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল যুবক!]
সফরের প্রথম দিন ১০ এপ্রিল আনজাও জেলার সীমান্ত গ্রাম কিবিথুতে “ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম”-এর সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী। ১০ ও ১১ এপ্রিল দুই দিন আরও কর্মসূচি রয়েছে শাহ’র। একদিকে যখন অরুণাচল সীমান্তে চিনা আগ্রাসন অব্যাহত, তখন রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে পালটা চাল দিতে চাইছে ভারত। এর ফলে কর্মসংস্থানও হবে। স্থানীয়দের মন জয় করতে চাইছে ভারত।
[আরও পড়ুন: ‘চাই না কোনও ভুয়ো ডিগ্রিধারী প্রধানমন্ত্রী হোক’, ফের নাম না করে মোদিকে নিশানা কেজরির]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘ওই অঞ্চলটি (অরুণাচল) তিব্বতেরই দক্ষিণের ঝানগান প্রদেশের অংশ।’ যে ১১টি অঞ্চলের নামকরণ করেছে চিন তার মধ্যে রয়েছে দু’টি ভূমি অঞ্চল, দু’টি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গ এবং দু’টি নদী। যার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে টুইট করা হয়েছিল, “আমরা গোটা বিষয়ে অবগত। চিন আগেও এই কাজ করেছে। এমন পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করছি। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নামকরণের প্রচেষ্টা বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না।”