দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষের তো যাওয়ার প্রশ্নই নেই৷ চাইলেও আর প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে কাছে যেতে পারবেন না আমলা, এমনকী মন্ত্রীরাও৷ মোদির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে এসপিজি বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অনুমতি নিতে হবে৷ রীতিমতো তল্লাশি চালানোর পরই মোদির কাছে যেতে দেওয়া হবে মন্ত্রী ও আমলাদের৷ এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ নিরাপত্তা সংস্থাগুলির পরামর্শ, লোকসভা বা বিধানসভার সময়ে রোড শো-র সংখ্যা কমাতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে৷ যদি তা একান্তই সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত যেন রোড শো-তে বেশিক্ষণ না থাকেন মোদি৷
[রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করবে কংগ্রেস]
কিন্তু, হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে এত কড়াকড়ি কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রকের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির জীবন বিপন্ন৷ তাঁর প্রাণহানির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না৷ কিছুদিন আগেও মোদির উপর মাওবাদী হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল৷ সেই সতর্কবার্তায় কার্যত সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে৷ তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সাধারণ মানুষ তো দূর, এসপিজি-র অনুমতি ছাড়া মোদির ধারেকাছে যেতে পারবেন না আমলা, এমনকী, মন্ত্রীরাও৷ শুধু তাই নয়, মন্ত্রীই হোন কিংবা আমলা, তল্লাশি হবে সকলেরই৷ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিশানা করেছে বেশ কয়েকটি মাওবাদী ও চরমপন্থী সংগঠন৷ চলতি মাসে মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে মুম্বই, দিল্লি ও নাগপুর থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন আবার অধ্যাপক৷
গত মাসে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদি৷ নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মঞ্চে উঠে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি৷ মোদির পা ছুঁয়ে প্রণামও করেছিলেন তিনি৷ ঘটনার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর নয়া সুরক্ষাবিধির কথা জানিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷
[উবের-এর শেয়ার ক্যাবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, আতঙ্কে মহিলা সাংবাদিক]
The post কঠোর হল মোদির নিরাপত্তার ঘেরাটোপ, কাছে ঘেঁষতে পারবেন না মন্ত্রীরাও appeared first on Sangbad Pratidin.