অরূপ বসাক, মালবাজার: পথ দুর্ঘটনা খবর পেয়ে দুই আহতদের উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন মালবাজারের (Malbazar) মেটেলির এক হোমগার্ড। তাঁদের প্রাণ বাঁচিয়ে নিজের আর ফেরা হল না। মৃত্যু হল হোমগার্ড (Homeguard) প্রীতম দে’র। রবিবার রাতে মেটেলির ইনডং মোড়ে আহত হয়েছেন মেটেলি থানার এএসআই মিঠু রায়-সহ পাঁচ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার চালসা থেকে মেটেলিগামী রাস্তায় দুর্ঘটনার পর দুই সাইকেল আরোহী আহত হয়ে পড়ে ছিলেন। সেসময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন মেটেলি থানার এএসআই মিঠু রায়। তিনি আহতদের রাস্তা থেকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন। সেই সময়ে মালবাজার থানায় কাজ সেরে মেটেলি থানার দিকে যাচ্ছিলেন হোমগার্ড পদে কর্মরত প্রীতম দে। প্রীতম মিঠুবাবুকে আহতদের উদ্ধারের কাজে সহযোগিতা শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত সোফায় বসে টিভি দেখছেন! দেহ উদ্ধারে গিয়ে হতবাক স্বাস্থ্যকর্মীরা]
এমন সময় চালসা থেকে মেটেলিগামী একটি বাইক তীব্র গতিতে এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনায় আহত হন বাইক আরোহী-সহ উদ্ধারকাজে থাকা এএসআই মিঠুবাবু ও বছর বত্রিশের হোমগার্ড প্রীতম দে। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। আহতদের মধ্যে মিঠু বাবুকে মঙ্গলবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি আহতদের মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রীতমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে ৬ মাস পর ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, আজই রওনা হচ্ছেন শিলিগুড়ি]
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অন্য তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে উন্নতর চিকিৎসার জন্য। অপরজন মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। এঁরা সকলেই ইনডং চাবাগানের বাসিন্দা। তবে হোমগার্ড প্রীতমের অকাল প্রয়াণে মালবাজার শহরের রামকৃষ্ণ কলোনিতে শোকের ছায়া। পরিবারের সন্তানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। মালবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাটি বেদনাদায়ক। তদন্ত শুরু হয়েছে।” তবে নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে যেভাবে প্রাণ দিলেন প্রীতম, তা নজির বলেও মনে করছেন তাঁর সহকর্মীদের একাংশ।
The post দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে নিজের প্রাণ বিসর্জন হোমগার্ডের, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মালবাজারে appeared first on Sangbad Pratidin.