সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির অমতে দলিত যুবককে বিয়ে করেছিলেন। এই অপরাধে ফের সম্মান রক্ষার বলি রোহতকের তরুণী। ভরা আদালত চত্বরে তাঁকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। একই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন মৃতের সঙ্গে থাকা সাব-ইন্সপেক্টর। মৃতের নাম মমতা কুমারী। অভিযোগ, এই খুনের পিছনে রয়েছে মমতার বাবা রমেশ। ভিন জাতে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি রমেশ, তাই সুপারি কিলার দিয়ে মেয়েকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। গুলি চলার সময় আদালত চত্বরেই ছিল মমতা কুমারীর বাবা। তবে পুলিশ তাকে খুঁজছে জানতে পেরেই পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত রমেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তল্লাশি।
[আরও মহার্ঘ হচ্ছে তাজমহল দর্শন, বাড়ছে টিকিটের দাম]
অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হওয়া সাব ইন্সপেক্টরের নাম নরেন্দ্র কুমার। তিনি কারনাল এলাকার বাসিন্দা। এদিন কার্নালের নারী নিকেতন নামের সরকারি হোম থেকে মমতা কুমারী ও আরও এক মহিলাকে রোহতক আদালতে নিয়ে এসেছিলেন। মমতার বাবা রমেশ দলিত যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন। রমেশের অভিযোগ ছিল, ভুলিয়ে ভালিয়ে তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করেছে ওই দলিত যুবক। তবে তার অভিযোগ ধোপে টেকেনি। পুলিশ ওই যুগলকে আটক করে যুবককে জেলে পাঠায়। তরুণীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও বাবার কাছে যেতে চাননি তিনি। তাই কার্নালের সরকারি হোম নারী নিকেতনে ঠাঁই হয় তাঁর। বুধবার রোহতক কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। সাব-ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র কুমার তাঁকে নিয়ে কোর্টে আসেন। শুনানির পর কোর্ট চত্বরের উলটো দিকের সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ওঠার জন্য মমতাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। আশপাশেই মোটরবাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল দুই দুষ্কৃতী। তাঁদের আসতে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে। প্রথম গুলিটি এসে লাগে নরেন্দ্র কুমারের গায়ে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। একের পর এক গুলি ছুঁড়ছিল দুষ্কৃতীরা। পরের গুলিটি লাগে মমতা কুমারীকে বিদ্ধ করে। কাজ হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। তড়িঘড়ি আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[জিন্না প্রধানমন্ত্রী হলে ঐক্যবদ্ধ থাকত ভারত-পাকিস্তান, বিস্ফোরক দলাই লামা]
এই প্রসঙ্গে কার্নালের পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র ভোরিয়া জানান, মৃত মমতা কুমারীর বাবা রমেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গুলিতে মৃত পুলিশকর্মীর নাম সাহসিকতার পুরস্কারের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
The post ফের সম্মান রক্ষার বলি, বাবার নির্দেশে আদালত চত্বরে খুন তরুণী appeared first on Sangbad Pratidin.