রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সমুদ্রতটে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঢেউ। সমুদ্রের পাড়ে বহু মানুষের ভিড়। নোনা জলে পা ভেজানোর সাথে সাথেই কেউ খাচ্ছেন ডাবের জল। আবার কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত। কিংবা কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়েই নির্ভেজাল ছুটির আনন্দ উপভোগ করছেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন এ বর্ণনা কোনও সমুদ্রসৈকতের ছাড়া অন্য কিছুই নেই। দিঘার (Digha) ছবিও একইরকম। তবে এবার বোধহয় খানিক বদলাতে চলেছে ছবিটি। কারণ, এবার থেকে দিঘায় নিষিদ্ধ ঘোড়া। দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
কিন্তু কেন এমন নির্দেশিকা? দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানস মণ্ডল বলেন, ঘোড়ার ক্ষুরের আঘাতে নষ্ট হচ্ছে দিঘার সৌন্দর্যায়ন। অনেক সময়েই ঘোড়ার ক্ষুরের আঘাতে পর্যটকরা আহত হচ্ছেন। ঘোড়া কামড়ও দিচ্ছে পর্যটকদের। তার ফলে তাঁরা বিরক্ত হচ্ছেন। তাছাড়া ঘোড়ার বিষ্ঠায় সৈকত শহরে ছড়াচ্ছে দূষণ। তাই দিঘার সমুদ্রতটে ঘোড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরিতে উদ্যোগী নবান্ন, কলকাতার আশপাশে শুরু জমির খোঁজ]
দিঘার সৌন্দর্যায়ন রক্ষা করতে এর আগেও একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। দিঘার সমুদ্র সৈকতে গরু বা ছাগল চরানোর ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কেউ নিষেধাজ্ঞা না মানলে গরু বা ছাগল মালিককে ২০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশিকাও জারি হয়। মালিকানাহীন পশুদের খোঁয়াড়ে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার ঘোড়া চলাচলের ক্ষেত্রেও জারি হল নিষেধাজ্ঞা।
তবে সমুদ্রতটে ঘোড়া না চললে বেজায় বিপাকে পড়বেন অন্তত ৯০টি পরিবারের সদস্য। কারণ, ঘোড়ায় পর্যটকরা না চড়লে আয়ও বন্ধ হয়ে যাবে। তার ফলে টান পড়বে রুজিরুটিতে। তাই দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ঘোড়া ব্যবসায়ীরা। পালটা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দূরত্ব বাড়ছে কোহলি-রাহুলের? দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত ভারতীয় ড্রেসিংরুম! ]