সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশার দানা মাঝির ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় এবং সঙ্গে টাকা না থাকায় কয়েক কিলোমিটার স্ত্রী-র মৃতদেহ কাঁধে করে হেঁটেছিলেন তিনি। এবার একই রকম একটি ঘটনা ঘটল বেঙ্গালুরুর আনেকাল-এ। যেখানে এক সরকারি হাসপাতাল অ্যাম্বুল্যান্স না দেওয়ায় তিন বছরের ছেলের মৃতদেহ বাইকে করে বাড়ি নিয়ে গেলেন বাবা।
[মধুচক্রের পাল্লায় লোকসভার সাংসদ]
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যে ৭ টা ৩০ নাগাদ আনেকাল-এর কারপুর গেটের কাছে দুর্ঘটনায় আহত হয় তিন বছরের রহিম। এরপরেই রাত আটটা তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায় রহিমের বাবা। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এই সময় তাঁরা পুলিশকে কোনও খবর দেয়নি কিংবা শিশুটির ময়নাতদন্তও করায় নি। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাইনি। সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে ঘটনাটির কথা জানতে পারি। এরপর রাত ১০ টা ৩০ নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর পুরো বিষয়টি জানতে পারি।’
[বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির বাড়িতে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪]
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শিশুটির মৃত্যুর পর কোনও সাহায্যের হাতই বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। এমনকী একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করা হয়নি। প্রায় এক ঘণ্টা ছেলের মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। শেষপর্যন্ত একটি বাইকের পিছনে ছেলের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। জানা গিয়েছে, ওই পরিবার আসামের বাসিন্দা এবং বেঙ্গালুরুতে দিনমজুরের কাজ করে। আর তাই টাকার অভাবেই শববাহী যান কিংবা কোনও গাড়ির ব্যবস্থাও করতে পারেননি।
[গরু চুরির অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে খুন]
ঘটনাটি জানতে পেরে অনেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিন্দা করেছে। এদিকে এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে, দোষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে পুলিশকে না জানিয়ে বা ময়নাতদন্ত না করে ছেলেটির মৃতদেহ ছাড়া ঠিক হয়নি তাঁদের। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, ছেলে মারা গিয়েছে শুনেই ওই ব্যক্তি মৃতদেহটি নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এখন আনেকাল-এর পুলিশ তদন্তের জন্য ওই পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
[প্রতিবেশী দেশগুলিকে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উপহার মোদির, নেবে না পাকিস্তান]
The post অ্যাম্বুল্যান্স নেই, ছেলের মৃতদেহ বাইকে চাপিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা appeared first on Sangbad Pratidin.