shono
Advertisement
One Nation One Election Bill

এক দেশ, এক নির্বাচনে আদৌ খরচ কমবে তো? জেপিসির বৈঠকে প্রশ্ন বিরোধীদের

Published By: Subhajit MandalPosted: 09:32 PM Jan 08, 2025Updated: 09:41 PM Jan 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দেশ-এক ভোট বিল খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উত্তাল বিতর্ক। রীতিমতো বাদানুবাদের পরিস্থিতি শাসক এবং বিরোধী সাংসদদের মধ্যে। বিরোধীরা এদিন মূলত একসঙ্গে নির্বাচনের খরচ এবং সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisement

সূত্রের খবর, বুধবার ৩৯ সদস্যের ওই যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ বিরোধী সাংসদরা একযোগে এক দেশ-এক নির্বাচনের বিরোধিতা করেন। প্রিয়াঙ্কাদের দাবি মূলত দুটো। এক, এক দেশ-এক নির্বাচন সাংবিধানিক কাঠামোর বিরোধী। এভাবে সময়ের আগে নির্বাচিত রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া যায় না। দুই, একসঙ্গে নির্বাচনের খরচ। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্র যে দাবি করছে একসঙ্গে নির্বাচন হলে খরচ কমবে, সেটা সত্যি নয়। বরং একসঙ্গে ভোট হলে অনেক বেশি পরিমাণ ইভিএম প্রয়োজন হবে। সেটা আরও বেশি খরচসাপেক্ষ। বিরোধীরা বলছে, ২০০৪ সালে প্রথম গোটা দেশে একসঙ্গে ইভিএমে ভোট হয়, সেসময়ের হিসাবে খরচ হিসাব করা উচিত সরকারের।

পালটা বিজেপির বক্তব্য, এক দেশ এক ভোটই জনগণের ইচ্ছা। তাছাড়া সাংবিধানিভাবে এই প্রস্তাবে কোনও বাধা নেই। ১৯৫৭ সালে একসঙ্গে ভোট করানোর জন্য ৭টি রাজ্যের সরকার ভাঙা হয়েছিল। তখন কি নেহেরু সংবিধান বিরোধী কাজ করেছিলেন? বিজেপির দাবি, একসঙ্গে ভোট হলে খরচ বাড়ার যে হিসাব বিরোধীরা দিচ্ছে সেটা মনগড়া।

উল্লেখ্য, বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সংসদে পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল। যদিও এখনই বিল পাশ করানো পথে না হেঁটে তা পাঠানো হয়েছে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি)। এই ধরনের সংবিধান সংশোধনী পাশ করাতে হলে লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়, যা কেন্দ্রের হাতে নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এক দেশ-এক ভোট বিল খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই উত্তাল বিতর্ক।
  • রীতিমতো বাদানুবাদের পরিস্থিতি শাসক এবং বিরোধী সাংসদদের মধ্যে।
  • বিরোধীরা এদিন মূলত একসঙ্গে নির্বাচনের খরচ এবং সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
Advertisement