সুব্রত বিশ্বাস: প্রায় সাত মাস হয়ে গেল কোভিড আতঙ্কে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে সরে রয়েছে। সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। ভ্রমন পিপাসু বাঙালি ওই সময় একটু মুক্তির স্বাদ পেতে যেতে চাইছেন কাছে পিঠে কোথাও। হাতের কাছে দিঘা (Digha), মন্দারমনি। দুটি জায়গাতেই পুজোয় বুকিং শেষ। হোটেল বুকিং হলেও চিন্তা পরিবহন নিয়ে। ট্রেন চলছে না। ট্রেন চালানোর দাবি তুলে রেলের ঘরে আবেদন জানিয়েছে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।
দাবি তুললেই ট্রেন চলবে এমনটা নয়। ছাড়পত্র দিতে হবে রাজ্যকে। খড়গপুরের ডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান শনিবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ”রেলের কাছে দাবি জানিয়ে কিছু হবে না। পুরোটাই নির্ভর করছে রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর। পুজোর আগে, না পরে কবে কখন ট্রেন চলবে জানাবে রাজ্যই। রেল প্রস্তুত। রাজ্য কাল বললে, কালই চলবে ট্রেন।”
[আরও পড়ুন : পুজোয় হাতছানি দিচ্ছে সিকিম, সাত মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে গেল পাহাড়ি রাজ্যের দুয়ার]
রাজ্যের মতের অপেক্ষায় থমকে আছে লোকাল ট্রেনের গতি। শিয়ালদহ, হাওড়ার ডিআরএম এসপি সিং ও ইশাক খান সমস্বরে একই কথা জানিয়েছেন। পূর্ব রেল দূরপাল্লার তেরোটি ট্রেন (Train) চালানোর অনুমতি চেয়েছিল বোর্ডের কাছে। বেশ কয়েকটি অনুমতি মেলায় তা চালু হয়েছে বা হচ্ছে। তবে সব ক্ষেত্রেই রাজ্যের অনুমতি লাগছে। বোর্ড শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদের মধ্যে ট্রেন চালানোর অনুমতি দিলেও রাজ্যের অনুমতি বা মেলায় তার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি বলে দক্ষিণ পূর্ব রেল জানিয়েছে।
লোকাল ট্রেনের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। বহু জায়গায় ঝামেলা, অবরোধ, ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল। রাজ্যের অনুমতি উপেক্ষা করেই লোকাল ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন। সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “মানুষ ট্রেন বা চলায় কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। মরিয়া হয়ে উঠছেন ট্রেনে চড়তে। সোনারপুরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এরপর রেলকর্মীদের উপর ক্ষোভ উগরে দেবে। তার দায় কে নেবে। আমরা রাজ্য অনুমতি না দিলেও তাকে উপেক্ষা করে রেলকে ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছি।” দুই রেল সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের অনুমতি ব্যতিত রেল ওই রাজ্যে ট্রেন চালাতে পারবে না। ফলে অসুবিধা রয়েছে। তাই রেলের কাছে দাবির পরিবর্তে তাঁরা রাজ্যের কাছে দাবি দাওয়া পেশ করুন। রেল প্রস্তুত। রাজ্যের অনুমতি মিললেই চাকা গড়াবে।