সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ফুঁসে উঠেছে দেশ। বৃহস্পতিবারই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট চারজন এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এবার জানা গেল, মূল অভিযুক্ত হুইরেম হেরোদাস মেতেইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা।
প্রসঙ্গত, মে মাসের গোড়া থেকেই মণিপুর (Manipur violence) কার্যত নরককুণ্ড। হাজার হাজার সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। নতুন করে বিতর্কের পারদ চড়েছে ভিডিওটিকে ঘিরে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই মহিলাকে। অভিযোগ, গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন তাঁরা। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। টুইটার-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র কড়া নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই যেন ওই ভিডিও নতুন করে শেয়ার না করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গত ৪ মে-র। অভিযোগের আঙুল মেতেই সম্প্রদায়ের দিকে।
[আরও পড়ুন: ক্রীড়াজগতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি! এমবাপেকে ধরে রাখতে অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পিএসজির]
এই প্রেক্ষাপটে ‘চাপের মুখে’ মণিপুর (Manipur) নিয়ে ৭৮ দিন পর মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুই জনজাতি মহিলাকে যৌন হেনস্তার প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “এই ঘটনায় গোটা দেশের মাথা নত হচ্ছে। “মণিপুরে মা-বোনেদের অসম্মান যারা করেছে তারা রেহাই পাবে না। মহিলাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। আমি সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানাব তাঁরা যেন রাজ্যে-রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখেন।”