সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর ধর্ষণে (Bilkis Bano Gang Rape Case) দোষী সাব্যস্তদের একজন মুক্তির পরে গুজরাটে ওকালতি শুরু করেছেন। যা দেখে বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার প্রশ্ন, ”ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কেউ কী করে ওকালতির মতো পেশাকে বেছে নিতে পারে?”
বানোর ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলারই শুনানি। আর সেখানেই উঠে আসে বিষয়টি। আসলে দোষীদের আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা রাধেশ্যাম শাহ নামের এক দোষী সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গে বলেন, ”আজ প্রায় এক বছর কেটে গিয়ে গিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কিন্তু একটিও মামলা হয়নি। এক মোটর দুর্ঘটনা মামলায় আমি আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছি। আমি একজন আইনজীবী। এবং আমি আবার প্র্যাকটিস শুরু করেছি।”
[আরও পড়ুন: এনডিএ না INDIA, এখনই নির্বাচন হলে শেষ হাসি হাসবে কে? জানাল সমীক্ষা]
এরপরই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া বলেন, ”দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে কীভাবে লাইসেন্স পেলেন প্র্যাকটিস করার? আইন একটা মহান পেশা। বার কাউন্সিলকে বলতে হবে দোষী কি প্র্যাকটিস করতে পারেন? আপনি একজন দোষী। এতে কোনও সন্দেহ নেই। আপনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেই আপনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।” জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, ”আমি ঠিক বলতে পারব না।”
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano) গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়। ধর্ষকদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরই দেশজুড়ে অসন্তোষের হাওয়া বইতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে।