বাধা কাটিয়ে ক্রমশ অগ্রগতি হচ্ছে রিয়েল এস্টেটে। জানালেন অ্যাসকন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ইন্ডিয়া) লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর লক্ষ্মণ জয়সোয়াল
১. রিয়েল এস্টেট সেক্টরের গ্রোথ এখন কীসের উপর নির্ভর করছে?
রিয়েল এস্টেট সেক্টরের গ্রোথ, আমাদের জনসংখ্যা ও সেই সংক্রান্ত অন্যান্য শর্তের উপর নির্ভরশীল তবে মূলত সরকারি পলিসি নিয়ে সেক্টর এই মুহূর্তে বেশি আগ্রহী। যদি ট্যাক্সে সেই ধরনের ইনসেনটিভ পাওয়া যায়, তাহলে প্রপার্টি মার্কেটে সেল বাড়বে। ব্যাংক যদি সুবিধাজনক শর্তে লোন দেয়, তা হলেও উপকৃত হব আমরা। খুব কড়া ধাঁচের নিয়ম এলে বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা পড়বে, গ্রোথ কমবে। অর্থনীতি যদি স্থিতিশীল থাকে, তা হলে রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রিতে গতি আসবে।
২. নতুন লগ্নিকারীরা কী চোখে প্রপার্টি সেক্টরকে দেখছেন?
নতুন বিনিয়োগকারীরা জানেন, মার্কেট যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে, তবে কীভাবে এগোতে হবে তা নিয়ে সকলের স্বচ্ছ ধারণা নেই। সরাসরি লগ্নি করে রেন্টাল ইনকাম পেতে পারেন তাঁরা, বিক্রি অর্থাৎ রিসেলও হতে পারে। অন্যদিকে আরইআইটি বা রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট বা রিয়েল এস্টেট সংস্থার স্টকও কিনতে পারেন। মধ্যমেয়াদে আমরা ‘পজিটিভ ক্যাশ ফ্লো’র সম্ভাবনা দেখতে পারছি।
[আরও পড়ুন: সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্টে গড়ে তুলুন সুরক্ষিত ভবিষ্যত, রইল নিশ্চিন্ত জীবনের চাবিকাঠি]
৩. যদি অ্যাসেট অ্যালোকেশন কেউ যথাযথভাবে করতে চান, তিনি কীভাবে এই সেক্টরটি দেখবেন?
ডাইভারসিফিকেশনের উত্তম পদ্ধতি হিসাবে নেওয়া উচিত বলে মনে করি। তার কারণ এখানে বিনিয়োগ খুবই ফলপ্রসূ হতে পারে, ঠিক পথে এগোলে সুরক্ষাও কম নয়। কাজেই একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে পোর্টফোলিওর ২০ শতাংশ রিয়েল এস্টেটে থাকতেই পারে।
৪. এই সন্ধিক্ষণে অপেক্ষাকৃত ছোট (টিয়ার টু) সেক্টরের কী সম্ভাবনা, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে?
দেখুন, কোভিডের কারণে অনেক বাধা-বিপত্তির সামনে আমরা সকলেই এসে দাঁড়িয়েছি। তবে রেসিডেন্সিয়াল মার্কেট কিছু হলেও বাধা কাটিয়ে উঠছে, সাধারণভাবে বলতে গেলে টিয়ার টু সেন্টারগুলিতে উন্নতি দেখা যাচ্ছে। মানুষ বাড়িতে বিনিয়োগ শুরু করছেন আবার, অথবা কাজকর্মের জন্য অফিসের কেনাতেও মন দিচ্ছেন। টিয়ার টু, মনে রাখতে হবে, অপেক্ষাকৃত সুলভ। অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং মার্কেট হিসাবেও এগুলি যথেষ্ট ভাল। কম লোক, কম দূষণ, বেশি ভিড় নেই-এই সমস্তই সুবিধাজনক হিসাবে ধরা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নিয়ে রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলি তাই বেশি আশাবাদী।
৫. এই রাজ্যে কী ধরনের সম্ভাবনা দৃশ্যমান বলে আপনি মনে করেন?
অনলাইনে রাজ্যবাসী ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন, বোঝাই যাচ্ছে। ইন্টারনেট মাধ্যমে ট্র্যানজ্যাকশন আজ ভালই বৃদ্ধি পেয়েছে। পোর্টাল মারফত মিউটেশন, ট্যাক্স প্রদান, ডিডের সার্টিফায়েড কপি-অর্থাৎ অনেক কিছুই সহজে হয়ে যাচ্ছে। কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অন্তর্গত আলাদা ‘জোন’ হয়েছে বিল্ডিং সংক্রান্ত বিষয় দেখার জন্য। আরও দ্রুত সব কিছু ভবিষ্যতে করা যাবে, আমি এমনই আশা করি।