সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেগুন সবজি হিসেবে সুস্বাদু। এর পুষ্টিগুণও মন্দ নয়। প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায় এই সবজি। সামান্য পরিশ্রমে বেগুন চাষ করা সম্ভব৷ তাই কৃষকদের কাছে বেগুন চাষের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে৷ সারা বছরই বাজারে বেগুনের চাহিদাও থাকে ভালই৷ যদিও শীতকালে বেগুনের চাহিদা বেশি হয়৷ তাই কম পরিশ্রমে বেশি লক্ষ্মীলাভের আশায় অধিকাংশ কৃষকই বেগুন চাষ করেন৷ তাহলে আসুন জেনে নিই বেগুন চাষের নিয়ম৷
[বাড়িতেই জুঁই ফুলের চাষ করতে চান? জেনে নিন পদ্ধতি]
[শিলাবৃষ্টিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক ক্ষতি, মাথায় হাত কৃষকদের]
মাঘ-ফাল্গুন মাসে গ্রীষ্মকালীন, বৈশাখ মাসে বর্ষাকালীন, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে শীতকালীন ফসলের জন্য চারা রোপণ করতে হয়। সব ধরনের মাটিতেই বেগুন চাষ করা সম্ভব। তবে দোআঁশ, এটেল দোআঁশ ও পলিমাটিতে এই সবজি চাষ ভাল হয়৷ এই মাটিতে চাষ করলে শীতকালে বেগুনের ফলন বেশি হয়। এই সবজি চাষের ক্ষেত্রে প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে নিন। এরপর ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারি করে ৬০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগাতে হবে। গাছের আকার অনুযায়ী দূরত্ব ১০-১৫ সেন্টিমিটার কম-বেশি করা সম্ভব।
[কালো নুনিয়ার সঙ্গে তুলাইপাঞ্জি চাল চাষের উদ্যোগ কোচবিহারে]
প্রয়োজনে সারও ব্যবহার করতে পারেন৷ বেগুন গাছ ভাল থাকার জন্য প্রতি হেক্টর জমিতে ৩৭০-৩৮০ কেজি ইউরিয়া এবং ৮-১২ টন গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। মাঝে মাঝে বেগুন গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হয়। শীতকালীন ও আগাম লাগানো বর্ষাকালীন বেগুনের জন্য প্রচুর জল প্রয়োজন হয়। বেলে মাটিতে ১০-১৫ দিন পর জল দেওয়ার প্রয়োজন। বর্ষাকালীন ও বারোমাসী বেগুনের জন্য জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করতে হয়।
[পাটের বিকল্প হিসাবে আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা]
[জবা ফুল চাষ করেও হতে পারে প্রচুর লাভ, পদ্ধতি জানা আছে?]
বেগুন গাছে মাঝে মাঝে নানা রোগ দেখা দেয়৷ নানা ছত্রাকে আক্রান্ত হয় বেগুন গাছ। গাছের গোড়া ও শেকড়ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় বেগুন গাছে। এ রোগ হলে পাতা ঝিমিয়ে পড়ে এবং গাছ হেলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এমনকী বেগুন গাছ মারাও যেতে পারে। এক্ষেত্রে গাছে রাসায়নিক ব্যবহার করা প্রয়োজন৷
The post বেগুন চাষ করেও লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা, জেনে নিন পদ্ধতি appeared first on Sangbad Pratidin.