সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মধ্যে সিঁড়ি এখন ট্রেন্ডিং। অনেকেই নতুন বাড়ি তৈরি করলে ঘর, বিশেষ করে বৈঠকখানার মধ্যে দিয়েই বানান উপরের তলায় ওঠার সিঁড়ি। রকমারি ডিজাইন হলেও রংয়ের ক্ষেত্রে কাঠের রংই ব্যবহার করেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু সিঁড়ি যেহেতু ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে, সেক্ষেত্রে রঙের মধ্যেও আনুন ভিন্নতা।
সিঁড়ি যদি সাদামাটা হয়, তবে বৈঠকখানার সৌন্দর্যটাই মাটি। কিন্তু অনেকে সিঁড়ি পোক্ত হওয়ার জন্য পুরনো পদ্ধতিতে সিঁড়ি বানানো পছন্দ করে। সিঁড়ির রেলিংও হয় সিমেন্ট দিয়ে। এই ধরনের সিঁড়ি হলে এর ধাপ সাজানোর জন্য আলাদা আলাদা রং ব্যবহার করতে পারেন। যদি চান সিঁড়ি দেখতে হবে ক্লাসিক, তাহলে বাছুন সাদা-কালো রং। সিঁড়ির মেঝে সাদা আর ধাপ কালো রং করতে পারেন। সাজানোয় তারতম্য আনতে চাইলে একাধিক রঙে সাজাতে পারেন সিঁড়ি। এক্ষেত্রে মেঝে একরকম আর ধাপ অন্য রঙের হতে পারে।
[ আরও পড়ুন: রাতেও অক্সিজেনের জোগান, ঘরের পরিবেশ সুস্থ রাখতে থাকুক এসব গাছ ]
সিঁড়িতে এখন গ্রাফিক্স হল ট্রেন্ডিং। সিঁড়ি ধাপে ধাপে না হলেও একটি গ্রাফিক্স গোটা সিঁড়িজুড়ে এঁকে দেওয়া যায়। তাতে নিচ থেকে দেখলে একটা গোটা আঁকা মনে হয়। ইদানিং কয়েকটি রেলস্টেশন ও অন্যান্য পাব্লিক প্লেসেও সিঁড়িতে এই ধরনের গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়িতে তো বটেই। সিঁড়িতে বৈচিত্র্য আনতে গ্রাফিক্সের জুড়ি নেই।
এ তো গেল সিঁড়ির ধাপ সাজানোর ব্যাপার। সিঁড়ির দেওয়ালও সাজানো যেতে পারে নতুনভাবে। এক্ষেত্রে এখন প্রথমেই রয়েছে ফ্লোরাল ডিজাইন। সিঁড়ি যদি দেওয়াল ঘেঁষা হয়, তাহলে দেওয়ালটি ফ্লোরাল প্রিন্ট করা যেতে পারে। এতে ঘরে অন্যরকম লুক আসবে। নাহলে প্যাস্টেলের কাজও করা যেতে পারে দেওয়ালে। কিন্তু সবটাই করতে হবে ঘরের রং বুঝে। এছাড়া সিঁড়ির দেওয়ালে বানাতে পারেন বইয়ের তাক। নাহলে জমিদারবাড়ির মতো বড় বড় তৈলচিত্র দিয়েও সাজাতে পারেন দেওয়াল।
এখনকার ফ্ল্যাটগুলিতে জায়গা খুব কম থাকে। তাই চেষ্টা করুন, সিঁড়ির নিচের অংশটাও যেন কাজে লাগানো যায়। অবসর সময়ে বই পড়ার জন্য এখানে ছোট বিছানা পাততে পারেন। এছাড়া করা যেতে পারে বইয়ের তাক। আর এত কিছু সম্ভব না হলে ওই জায়গাটা স্টোররুম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
[ আরও পড়ুন: বাড়ির অব্যবহৃত জিনিসকে টব বানিয়ে অন্দরের সাজে আনুন বৈচিত্র ]
The post ঘরে আনুন বৈচিত্র্য, সিঁড়ি সাজান ট্রেন্ড অনুযায়ী appeared first on Sangbad Pratidin.