মলয় কুণ্ডু: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্পে জালিয়াতি রুখতে আগেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। প্রয়োজনীয় ফর্ম যাতে নকল না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। কোনও ধরনের সমস্যা থাকলে সেই অভিযোগ জানানোর জন্য নির্দিষ্ট হেল্পলাইন রয়েছে। এক ঝলকে জেনে নিন কীভাবে রোখা যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে জালিয়াতি।
- আগামী ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবির।
- এই শিবিরে বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের জন্য।
- সেখানকার নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে যে ফর্ম পাওয়া যাবে তা পূরণ করে সেখানে জমা দিতে হবে
- কোনভাবেই যাতে কোনো উপভোক্তা প্রতারিত না হন তার জন্য প্রতিটি ফর্মে কম্পিউটার জেনারেটেড ইউনিক নম্বর দেওয়া থাকছে। সেই নম্বর রাখা থাকবে সরকারি আধিকারিকের কাছেও।
[আরও পড়ুন: সারা বছরই বানানো যাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কলকাতায় স্থায়ী কেন্দ্র চালু করছে KMC]
নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নির্দিষ্ট হেল্পলাইনে অভিযোগ আসছে যে টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি হতে পারে। এ বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই উপভোক্তাদের সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, তারা যেন কোনভাবেই কারো কথায় প্রতারিত না হন। কেবলমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের শিবির থেকেই ফর্ম পাওয়া যাবে, অন্য কোনও ফ্রম গৃহীত হবে না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কড়া নজর রাখার জন্য ফের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
কী এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প?
বিধানসভা ভোটের আগে ইস্তাহারে মহিলাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে প্রতি মাসে পরিবারের মহিলাদের হাতখরচ দেবে সরকার। সেই মতো তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা এবং অন্যান্য মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। ১ সেপ্চেম্বর থেকে মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে সেই ভাতা। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ফর্ম ফিলাপ।