প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে সূর্যের তেজ। যা সহজেই সাধারণ মানুষের মনে ভয়ের উদ্রেগ ঘটায়, এই বুঝি হিট স্ট্রোক হয়ে গেল৷ হঠাত্ অজ্ঞানও হয়ে যান কেউ কেউ৷ এদিকে বাড়ি থেকে না বেরিয়েও উপায় নেই৷ গলদঘর্ম অবস্থায় অফিসে ঢুকে বা বাড়ি ফিরেই এসি চালু করেন কেউ কেউ৷ বেশিরভাগ সময় সমস্যার সূত্রপাত কিন্তু এখানেই৷ গলা ব্যথা, সর্দি, সাইনাস হবেই৷ তাই রাস্তা থেকে এসে বিশেষ করে মাথার ঘাম না শুকানো পর্যন্ত এসি ঘরে ঢুকবেন না কিংবা স্নান করবেন না৷ এ ক্ষেত্রে প্রথমে পাখা চালিয়ে আগে শরীর ঠান্ডা করে নেওয়া ভাল৷ কীভাবে ভাল থাকবেন পরামর্শ দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রদ্যোত্বিকাশ কর মহাপাত্র।
[পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে: রাজনাথ]
লু লাগলে শরীর খারাপ হবে না – রোজ রাতে কিছুটা মিছরি, কিছুটা ধনে বা মৌড়ির জল ভিজিয়ে রাখুন৷ সকালে তা ছেঁকে নিয়ে তাতে দু’-এক ফোঁটা রক্তচন্দন বাটা দিয়ে পান করুন৷ শরীর ঠান্ডা রাখবে৷ আর লু-এর গরম হলকা লেগে শরীর খারাপ লাগলে ততক্ষণাত্ এক গ্লাস জলে নুন, লেবু, চিনি মিশিয়ে পান করতে হবে৷
[আউশগ্রামে তৃণমূল পার্টি অফিসে বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA তদন্ত দাবি বিজেপির]
গরমে ডায়েরিয়ার হাত থেকে বাঁচতে– কচি বেল বা বেলের শুট চূর্ণ করে তা সকাল-সন্ধ্যা খেলে ডায়েরিয়া হবে না৷ এছাড়া এক গ্রাম করে দিনে দু’বার মুথার চূর্ণ খাওয়ালে গরমে ডায়েরিয়া হবে না৷ থানকুনি পাতার রস এক চামচ করে দিনে দু’বার খেলেও ডায়েরিয়া হয় না৷ উল্টে পেট পরিষ্কার হয়৷
সুস্থ থাকতে যে যে পন্থা অবলম্বন করবেন:
- গরম থেকে এসেই এসিতে ঢুকবেন না৷ রুমাল ভিজিয়ে যখন তখন মুখে দেবেন না৷
- ঠান্ডা জল পান নয়৷ পূর্ণবয়স্করা রোজ অন্তত তিন-চার লিটার জল পান করুন৷
- রাস্তায় আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়, বরফ জল খাবেন না৷
- পাকস্থলীকে উত্তেজিত করে এমন খাবার ঝাল-মশলাযুক্ত, ভাজাভুজি ও শুকনো খাবার এড়িয়ে সহজপাচ্য খাবার খান৷ হালকা ঝোল-ভাত খাওয়া ভাল৷ পাতে পাতিলেবু থাকা ভাল৷
- রোজ দই খান৷ লস্যি খেলে অল্প শীতল জলে সাধারণ তাপমাত্রার জল মিশিয়ে তাতে কয়েকটি কাজু-কিশমিশ দিয়ে খেতে পারেন৷
- কলা, আপেল, তরমুজ, আনারস, মুসম্বির রস ও অন্যান্য মরশুমি ফল বা ফলের রস খাওয়া ভাল৷ শরীর থেকে নুন বেশি বেরিয়ে যাওয়ায় সোডিয়াম-পটাশিয়াম খনিজযুক্ত ফল খান৷
- আম পোড়ার সরবত খেলে হজমক্ষমতা বাড়বে৷ অনাবশ্যক গ্যাস পেট থেকে বেরিয়ে যাবে৷ গরমে শরীর চাঙ্গাও লাগবে৷
[গোরক্ষার নামে আইন হাতে নিলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি যোগীর]
ঘামাচি, ব়্যাশের হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে– ঘামাচি, ব়্যাশ যাতে না হয়, তার জন্য রোজ স্নান করার সময় এক বালতি জলে সুগন্ধী অগরু অথবা চন্দনের ঘষা কিছুটা মিশিয়ে দিন৷ ফ্রেশ লাগবে৷ তবে যদি স্নান করেই বাইরে বেরনোর পরিকল্পনা থাকে তাহলে পাউডার মাখবেন না৷ বগলে, কুঁচকিতে, স্তনের নিচের দিকের খাঁজে পাউডার জমে ত্বকের রন্ধ্রের মুখ বুজিয়ে দেয়৷ সহজেই নোংরা জমে চুলকানি শুরু হয়৷ গরমকালে সূর্যের তেজ শুরু হওয়ার আগে ও সূর্যাস্তের পর স্নান করা ভাল৷ বিছানার চাদর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি৷ এসি ঘরে রোদ-বাতাস প্রবেশ করে না৷ তাই টানা অনেকক্ষণ এসিতে থাকাও কিন্তু উচিত নয়৷
শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠ (যোগাযোগ-০৩৩ ২৩৫০৪১৫৯)
আরও জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
The post এই গরমেও ভাল থাকবেন কী করে? appeared first on Sangbad Pratidin.