shono
Advertisement

শরীর সুস্থ রাখতে নজর দিন মনের দিকে, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

কীভাবে সারাবেন মন?
Posted: 10:31 PM Dec 09, 2021Updated: 10:31 PM Dec 09, 2021

মনের অবস্থা থেকেই শরীরে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যা ডেকে আনে রোগ। তাই আগে মন ভাল রাখুন। বললেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অশোককুমার প্রধান

Advertisement

কথায় বলে ‘মন ভাল তো সব ভাল!’ অর্থাৎ মন ভাল থাকলে অনেক কঠিন অসুখ নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গে মনের যোগাযোগ খুব ভাল। তাই শারীরিক অসুস্থতার পিছনে মনেরও ভূমিকা আছে। কিন্তু আমরা সাধারণত যে কোনও রোগে সেই রোগের উৎপত্তিস্থল অর্থাৎ মনের চিকিৎসা করি না। ফলে গোড়া থেকে রোগ নির্মূল সম্ভব হয় না। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে শরীরের সঙ্গে মনেরও চিকিৎসা করা হয়।

শরীরের সঙ্গে মনের সংযোগ
শরীর এবং মন অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত৷ শরীর যখন মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয় তখন প্রাথমিক অবস্থায় শরীর কথা বলতে না পারলেও মাতৃস্পর্শ থেকে শুরু করে সবকিছু মন বুঝতে পারে। তাই শারীরিক সব রোগের উৎপত্তি হয় মানসিক স্তর থেকে। মনের স্তরকে দেখা যায় না বলে আমরা শারীরিক রোগের বাহ্যিকভাবে চিকিৎসা করি। আসলে মানুষের যে কোনও অসুস্থতা মানসিক স্তর থেকে ফিজিক্যাল স্তরে আসে এবং তারপরে প্যাথোলজিক্যাল স্তরে আসে। অর্থাৎ মন থেকে কোনও অসুখের সূত্রপাত হয়ে শারীরিক পর্যায়ে আসে এবং শেষে সেই শারীরিক স্তর থেকে আমাদের শরীরে বিভিন্ন গঠনগত প্যাথোলজিক্যাল পরিবর্তন আসে। যেমন ধরুন কারও যদি ক্যানসারের টিউমার হয় তাহলে শরীরের এই পরিবর্তন চোখে পড়ে অথবা পরীক্ষায় সিস্ট ধরা পড়ে। কিন্তু আসলে এই রোগের উৎপত্তি অনেক আগেই মানসিক স্তরে হয়ে যায়। তাই রোগের উৎপত্তির চিকিৎসা না করলে রোগ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Election: কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী স্ত্রী, প্রচার করতে হিমালয় থেকে নেমে এলেন স্বামী]

হোমিওপ্যাথিতে মানসিক স্তরে চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথিতে রোগের যেখানে উৎপত্তি হয় অর্থাৎ মানসিক স্তর থেকে চিকিৎসা শুরু করা হয়। যে কোনও রোগ গোড়া থেকে বিশ্লেষণ করে তা নির্মূল করা হয় এবং সেই অনুযায়ী বর্তমানে শরীরের যে প্যাথোলজিক্যাল পরিবর্তন হয়েছে তার চিকিৎসা করা হয়। একইসঙ্গে হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ দেখে সূক্ষ্ম মাত্রায় শক্তিকৃত অবস্থায় রোগীকে সুস্থ করে তোলা হয়। আসলে হোমিওপ্যাথি হল এমন একটি চিকিৎসা যেখানে রোগীর প্যাথোলজিক্যাল দিককে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি একেবারে গোড়া থেকে মানসিক লক্ষ‌ণের চিকিৎসা করা হয়।

আগে মন ভাল রাখুন
মন ভাল না থাকলে যেমন অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, আবার এর উলটোটাও হতে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘকালীন শারীরিক অসুস্থতা ও চিকিৎসা রোগীর চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অসুস্থ হলে শরীরের যত্নের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এটি প্রমাণিত যে দীর্ঘদিন মানসিক উদ্বেগে ভুগলে গ্যাস-অম্বল এমনকী, টিউমারও হতে পারে৷ অর্থাৎ মানসিক চিন্তা ডেকে আনে অন্যান্য অসুখকে৷ তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকা বা সবসময় হাসি-খুশি থাকা খুবই জরুরি। কারণ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গেলে যে কোনও রোগের মোকাবিলা করা দুষ্কর হয়ে ওঠে।

[আরও পড়ুন: স্বস্তিতে মিঠুন চক্রবর্তী, তাঁর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্যের মামলা খারিজ করল হাই কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement