সুব্রত বিশ্বাস: এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ (Executive Lounge) না হলেও, হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এবার ‘কাচঘর’ তৈরি করবে রেল। নিউ কমপ্লেক্সে কনকর্সে এই কাচঘর হবে সম্পূর্ণ বাতানুকূল (AC)। তাতে থাকবে বসার সিট, টিভি। বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য তেমন বিশেষ থাকবে না। তবে ভিড় এড়াতে যাত্রীরা কিছুটা সময় আরামে কাটাতে পারবেন। এই কাচঘরের জন্য তেমন বাড়তি চার্জও নেওয়া হবে না। এক ঘণ্টা বিশ্রামের জন্য দিতে হবে মাত্র দশ টাকা।
কিন্তু হাওড়া (Howrah) স্টেশনে যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য হঠাৎ কাচঘর কেন? হাওড়ার ডিআরএম (DRM) মণীশ জৈনের কথায়, ”যেহেতু একেবারে স্টেশন কনকর্সে এই বসার আলাদা জায়গা তৈরি হবে, তাই সেখানে পাকা দেওয়াল তোলা সম্ভব নয়। সেরকম হলে খোলা জায়গাকে অদৃশ্য করে তুলবে। এর জন্য একেবারে স্বচ্ছ কাচের ঘর তৈরি হবে প্রকাশ্যেই। ভিতরে থাকবে এসি, টিভি।” সম্প্রতি এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে রেল। সূত্রের খবর, এর জন্য টেন্ডার ডাকা হবে।
[আরও পড়ুন: PAC চেয়ারম্যান পদে থাকছেন মুকুল রায়? সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকারই, জানাল হাই কোর্ট]
চলতি বছরের মধ্যেই হাওড়ার নিউ কমপ্লেক্স (New Complex) কনকর্সে এই কাচঘর তৈরির প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল। এই উদ্যোগে খুশি রেল পুলিশও। এক আধিকারিকের মতে, ঘেরাটোপের মধ্যে এই বিলাসবহুল বসার জায়গা নিরাপদ হবে। কারণ, ভিড়ে অপরাধ মুক্ত থাকবে এই জায়াগা। কাচের ঘর হওয়ায় ভিতরের সব কিছু বাইরে থেকেও দেখা যাবে। ফলে অপরাধীরা চুরি, ছিনতাই করতে সাহস পাবে না। এই ঘরে বিশ্রামের খরচ ন্যূনতম হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরাও তা ব্যবহারে আগ্রহী হবেন। ফলে ধাপে ধাপে হলেও রেলের আয় বাড়বে। আর সেটাই আপাতত লক্ষ্য রেলের।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ভবানীপুরে উপনির্বাচন নির্দিষ্ট দিনেই, কমিশনকে জরিমানা করে জানাল হাই কোর্ট]
আয় বাড়াতে রেলস্টেশনগুলিকে সংস্কারের পথে হাঁটছে ভারতীয় রেল। বহু নামী স্টেশনের ভোল বদলে ফেলা হয়েছে। শিয়ালদহ, কলকাতা, হাওড়া স্টেশন ঝাঁ চকচকে হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু নামী সংস্থার দোকান হয়েছে স্টেশনে। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হাওড়া স্টেশনে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের ধাঁচে ‘কাচঘর’ তারই এক অঙ্গ।