অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনের (Migrane) অসহ্য যন্ত্রণা। চিকিৎসাও চলছিল হাওড়া হাসপাতালে। কিন্তু যন্ত্রণা একেবারে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। আর স্থির থাকতে পারছিলেন না হাওড়ার (Howrah) যুবক দৌলত আলি। আর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি। বিদ্যুৎচালিত করাত চালিয়ে তিনি নিজেকে শেষ করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
হাওড়ার ব্যাঁটরা থানা এলাকার ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস সংলগ্ন এক বসতির বাসিন্দা দৌলত আলি। বয়স ২৯ বছর। মাইগ্রেনে আক্রান্ত দৌলত। তার জন্য হাওড়া হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা হতো। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার অসহ্য মাথাযন্ত্রণা (Headache) হতে থাকে তাঁর। আর কোনওভাবেই সহ্য করতে পারছিলেন না। আর তাতেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি পরিবারের। ছেলের এহেন সিদ্ধান্ত থ সকলে। মাথাযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ছেলে যে এমন একটা কাজ করবে, তা তো ভাবতেই পারেননি কেউ।
[আরও পড়ুন: বিয়ে করে ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত্যু নবদম্পতির]
দৌলত আলির মা রোহিমা বিবি জানিয়েছেন, ছেলে মাথা যন্ত্রণার কথা বলত। আর খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ও ছিল। মাথা যন্ত্রণার জন্য হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওষুধও খাচ্ছিল ছেলে। আবার শনিবার দৌলতকে নিয়ে এক ওঝার কাছে গিয়েছিলেন রোহিমা বিবি। তাঁর কথায়, ”ছেলে কাল সারারাত ঘুমোয়নি। ছটফট করছিল। সকালে ওর মাথায় একটু জল দিয়ে বললাম, এবার ঘুমো। ও ঘরে চলে গেল। আমিও একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপরই দেখি এই কাণ্ড। পাশে করাত ছিল। সেটা চালিয়ে নিজেই নিজেকে শেষ করেছে।” খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ।