স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় নির্মূল হয়ে যাওয়া কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু। অবধেশ পাসোয়ান(৪৭), হাওড়ার বালির বাসিন্দা। তবে তাঁর আসল বাড়ি বিহার। গত কয়েকমাস ধরে শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। বুধবার দুপুরে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর চাউর হতেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা। মন্তব্য করতে চায়নি স্কুল অফ ট্রপিক্যাল।
সূত্রের খবর, ডা. বিভূতি সাহা ওই ব্যক্তির চিকিৎসা করছিলেন। তাঁর কথায়,‘‘যা বলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলবে। কোনও মন্তব্য করব না।” সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন অবধেশ। তিন দিন আগে প্রথমে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর কালাজ্বর ধরা পড়ে। হাসপাতালের সুপারিশ মেনে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশের পরই ব্যবস্থা, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে ফুটপাত মেপে হকার বসাবে পুরসভা]
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, অবধেশের ছোটবেলায় একবার কালাজ্বরের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মৃতের চিকিৎসার যাবতীয় তথ্য স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সতর্ক।’’ স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, চলতি বছরে রাজ্যে প্রথম কোনও ব্যক্তির কালাজ্বরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের অভিমত, ওই ব্যক্তি সম্ভবত বিহার থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। রাজ্যে আসার পর রোগ স্পষ্ট হয়।
মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ে কালাজ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। কালাজ্বর কার্যত রাজ্যে নির্মূল হয়েছে ধরে নেওয়া হয়। এই খবর জানতেই বৃহস্পতিবার এই এলাকায় স্বাস্থ্যদপ্তরের ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগ ও বিশেষজ্ঞরা যাবেন। কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যভবনের তথ্য, রাজ্যে বর্তমানে ১১ জনের কালাজ্বরের চিকিৎসা চলছে। উত্তরবঙ্গের জেলায় কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি।