সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘প্রথম কলেজের দিনটা’ কিংবা ‘রক অন, জিন্দগি মিলাগি না দো বারা’-র দিন শেষ! এবার থেকে শুধুই দেশাত্মবোধক, জাতীয়তাবাদী গান-বাজনা করতে হবে রক ব্যান্ডগুলিকে। দেশের সব আইআইটি ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রক ব্যান্ডকে দেশপ্রেমের ভাবধারা বজায় রেখে গান-বাজনা করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর। পড়ুয়ারা জাতীয়তাবাদী গান-বাজনা মন দিয়ে চর্চা করছেন কি না, খোঁজ নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি ঘুরে দেখবেন পরিদর্শকরা। প্রতিষ্ঠানগুলিকে এ ধরনের ব্যান্ডকে ‘প্রচারের আলোয়’ নিয়ে আসতে নির্দেশও দেওয়া হয়ছে।
[সোনার মূর্তি, লুকানো গুপ্তধন! কী নেই ভারতের এইসব মন্দিরে]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘ইয়ে ইন্ডিয়া কা টাইম হ্যায়’ শিরোনামে এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যান্ডকে বাছাইও করেছে কেন্দ্র, যারা দেশের সর্বত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জাতীয়তাবাদী সঙ্গীত, বিশেষত জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বলিউডি গান গাইতে পারে। দিল্লি আইআইটির একদল ছাত্র কেন্দ্রের নোটিসের পরে ‘ইয়ে যো দেশ হ্যায় তেরা/স্বদেশ হ্যায় তেরা’ গাইতে চেয়েছেন। কেউ বা বলেছেন, ‘থোরি সি ধুল মেরি/ধরতি কি মেরে ওয়াতন কি’ অনায়াসেই গাইতে পারবেন তাঁরা। এ আর রহমানের গানগুলি গাইতে চেয়ে উচ্ছ্বসিত অনেকে। আবার অনেকেই বলছেন পড়ুয়াদের ব্যান্ডের গান নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপের মধ্যেই পড়ছে এসব নিয়ম কানুন। মন্ত্রকের এক অফিসার বলেছেন, একটি বেসরকারি বিনোদন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই ১২টির বেশি রক ব্যান্ডকে বাছাই করেছে। পরের মাসে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানের দিন স্থির করা হবে।
স্বাধীনতাপ্রাপ্তির সত্তরতম বর্ষপূর্তি ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পঁচাত্তর বছর উদযাপনে এমন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত। এ মাসের শুরুতে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দেয়, পড়ুয়াদের স্বাধীনতা দিবসের স্মারক স্থলে ও শহিদ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখাতে হবে পর্যটকদের। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলে এমন অনুষ্ঠানও হয়েছে যেখানে পড়ুয়া, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা দেশকে সন্ত্রাসবাদ, জাতপাত, দুর্নীতি, কলুষতা ও দারিদ্রের কবল থেকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছেন গানের মাধ্যমে।
[‘বিএসএফকে ভাল খাবারই দেওয়া হয়, অভিযোগকারী আইএসআই মদতপুষ্ট’]
The post এবার সব রক ব্যান্ডকে গাইতে হবে দেশাত্মবোধক গান, নির্দেশ কেন্দ্রের appeared first on Sangbad Pratidin.