সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা Huawei-এর অফিসে আয়কর হানা। জানা গিয়েছে, বুধবার সংস্থাটির দিল্লি, গুরুগ্রাম ও বেঙ্গলুরুর দপ্তরে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: Huawei-এর মাধ্যমে চরবৃত্তি চিনের, নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি ট্রাম্প প্রশাসনের]
সূত্রের খবর, হুয়েই-এর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। এমনই একটি মামলায় এদিন চিনা ‘টেক জায়ান্ট’টির অফিসে অনুসন্ধান চালান আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। তল্লাশির পর হুয়েই দপ্তর থেকে বেশ কয়েকটি নথি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকমাস আগেই ‘ZTE’ নামের আরও একটি চিনা সংস্থার দপ্তরে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এদিন তল্লাশি চলাকালীন চিনা সংস্থাটির ভারতীয় শাখার আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে হুয়েইর শীর্ষই আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বলে রাখা ভাল, 5G পরিষেবা শুরুর ট্রায়ালের ক্ষেত্রে হুয়েইকে অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, অন্য টেলিকম সংস্থাগুলি হুয়েইয়ের থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কোনও বাধা আরোপ করেনি কেন্দ্র।
এদিকে, আয়কর হানা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হুয়েই। সংস্থাটির বক্তব্য, সমসত আইনকানুন মেনেই ভারতে ব্যবসা করছে তারা। এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যে কোনও তদন্তের ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে বারংবার বিভিন্ন চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্যচুরির অভিযোগ উঠেছে হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে। বহু ভারতীয়র তথ্য হাতানোর অভিযোগও উঠেছে চিনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে। আর সেই নিয়েই দুশ্চিন্তায় কেন্দ্র। আর সেজন্যই চিনা সংস্থার কাছ থেকে কোনও উপকরণ সামগ্রী বা যন্ত্রাংশ না কেনার পক্ষেই মত মোদি সরকারের। তাছাড়া এর ফলে দেশীয় সংস্থাগুলোর ব্যবসাও বাড়বে, যা আবার প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ তৈরির লক্ষ্যকে আরও মজবুত করবে। শুধু তাই নয়, লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে অর্থনীতির দিক থেকেও চিনের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে মোদি সরকার বলেই মত বিশ্লেষকদের।