নব্যেন্দু হাজরা: ব্যাগ ভরতি শুধুই সোনার গয়না (Gold Ornaments)। দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সবমিলিয়ে ওজন প্রায় ৪৫০ গ্রাম! বাজারমূল্য কমবেশি ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু কোথা থেকে এল এত সোনা? কেনই বা মামুলি একটি ব্যাগে, বিশেষ কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলল না স্পষ্টভাবে। ফলে খানিকটা আতান্তরে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিকে নিয়ে কী করবেন, বুঝতে পারছেন না তাঁরা। ঘটনা দমদম (Dumdum) মেট্রো স্টেশনের। আপাতত সোনাভরতি ব্যাগ-সহ ওই ব্যক্তিকে সিঁথি থানার পুলিশ আটক করেছে।
কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) রেলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ দমদম মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করছিলেন এক ব্যক্তি। প্রবেশের মুখে স্ক্যানারে তাঁর ব্যাগটি পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ নিরাপত্তারক্ষীদের। দেখা যায়, ব্যাগভরতি সোনার গয়না। প্রায় ৪৩১ গ্রাম সোনা রয়েছে। এরপর তাঁকে প্রাথমিকভাবে এই সোনার উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে তিনি তেমন সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি নিরাপত্তারক্ষীদের। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সোনা কেনার কোনও বৈধ কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। এরপর মেট্রোর তরফে খবর দেওয়া হয় সিঁথি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করে, আটক করা হয় ব্যক্তিকেও।
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা হাওড়ায়, তৃণমূল নেতাকে অস্ত্র-সহ খুনের হুমকি, প্রতিবাদে পথ অবরোধ]
মেট্রো পথে সোনাভরতি এই ব্যাগ নিয়ে যদিও সন্দেহ ঘনিয়েছে। তবে কি পাতালপথে সোনা পাচারের কোনও ছক করা হচ্ছিল? নইলে কেনই বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলেন না ওই ব্যক্তি? কিংবা সোনার গয়না কেনা সংক্রান্ত প্রশ্নের ঠিকমতো উত্তর দিতে পারলেন না? যদিও ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। ফলে সোনা পাচারের সঙ্গে তাঁর আদৌ কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তাও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে এত বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না নিয়ে মেট্রো পথে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা আগে কখনও হয়নি বলেই মত কর্তৃপক্ষের। আসলে কলকাতা মেট্রোয় নিরাপত্তা বরাবরই বেশি। তাই কোনও সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে স্ক্যানারের নজরদারি এড়িয়ে বেরিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি কেন এত সোনার গয়না নিয়ে, কোনও নথি ছাড়াই পাতালপথ ধরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তা অজানা।