সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরকীয়ার ভয়ংকর পরিণতি দেখল ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। এর পরে রাগের বশে প্রথমে মারধর করেন ওই প্রেমিক যুবককে। অভিযোগ, পরে গাছে বেঁধে কুড়ুল কোপে মাথা কেটে নেন। ঘটনার খবর পায় স্থানীয় থানার পুলিশ। তারা অভিযুক্তকে বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের সোনুভা থানা এলাকার লঞ্জো গ্রামের। অভিযুক্তের নাম বিশ্বনাথ সুন্ডি। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পাশের গ্রামের বাসিন্দা যুবক শ্যামলাল হেমব্রমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রমাণ না থাকলেও স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন বিশ্বনাথ। কিন্তু এদিন বাড়ি ফিরতেই দু’জনকে ‘ঘনিষ্ঠ’ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এবং মেজাজ হারান তিনি। এর পরেই মারতে মারতে শ্যামলাল ঘর থেকে বের করেন তিনি। বাইরে এনেও বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। অভিযোগ, পরে গাছে বাঁধেন যুবককে। এবং তার পর রাগের বশে কুড়ুল দিয়ে এক কোপে ধর থেকে মাথা আলাদা করে দেন শ্যামলালের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
[আরও পড়ুন: দিল্লির কলেজের হোস্টেল-ক্যন্টিনে আমিষ বন্ধ! কী যুক্তি দিলেন অধ্যক্ষা?]
পরে ঘটনার কথা জানতে পারে স্থানীয় থানা। তারা এসে শ্যামলালের দেহ উদ্ধার করে। এবং তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। খুনে ব্যবহৃত কুড়ুলটিও উদ্ধার করা হয়। এইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুনে অভিযুক্ত বিশ্বনাথ সুন্ডিকে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের কাছে তথ্যই নেই পরিযায়ী শ্রমিকের! RVM পদ্ধতিতে ভোট কীভাবে? প্রশ্ন বিরোধীদের]
পরকীয় প্রেমের ভয়ংকর পরিণতির ঘটনা এরাজ্যও দেখেছে গত ডিসেম্বরে। বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় পথের কাঁটা ছিল স্ত্রী। সেই কারণেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের ঘোড়ামারা মাঠপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃত গৃহবধূর নাম রেখা বিবি (২৮)। বছর দশেক আগে ডোমকলের মোহনপুর বটতলা গ্রামের মেয়ে রেখা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ডোমকলেরই ঘোড়ামারা মাঠপাড়ার যুবক কৃষি শ্রমিক বানাত মণ্ডলের। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। অভিযোগ, মেয়ের জন্মের বছর খানেক পর থেকেই বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় বানাত। প্রথম প্রথম বুঝতে না পারলেও পরে সব জানাজানি হয়। তখন থেকেই বাঁধা হয়ে দাড়ায় স্ত্রী রেখা বিবি। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও ছিল। এর পরই পথের কাঁটা সরায় স্বামী।