সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে নাবালিকা গণধর্ষণে (Hyderabad Minor Rape) অভিযুক্তদের সাবালক হিসাবে বিচার করার আরজি জানাবে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে যেন ‘কঠোরতম’ শাস্তি পায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করতে চায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট সংশোধন করে বলা হয়, জঘন্য অপরাধ করলে ১৬ বছর বয়সিদেরও সাবালক হিসাবে বিচার করতে পারে আদালত।
সপ্তাহদুয়েক আগে হায়দরাবাদে নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকেই তেলেঙ্গানার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এই ঘটনা। গোড়া থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতি। এই ঘটনায় এআইএমআইএমের এক বিধায়কের পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচ জনই নাবালক। কিন্তু নৃশংস অপরাধ করার কারণে তাদের কঠোরতম সাজা দিতে চায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিবাহবিচ্ছিন্না বোনের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো উচিত ভাইয়ের, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের]
হায়দরাবাদের (Hyderabad) পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ জানিয়েছেন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাবে পুলিশ। স্থানীয় ডিসিপি ডি জোয়েল ডেভিস জানিয়েছেন,”আপাতত আমরা ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছি। চার্জশিট জমা করার পরেই আমরা আবেদন জানাব, যেন অভিযুক্তদের সাবালক হিসাবে বিচার করা হয়।” হায়দরাবাদে এর আগেও নাবালক অভিযুক্তকে সাবালক হিসাবে বিচার করার নজির রয়েছে। ১৭ বছর বয়সি এক নাবালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, দোষী প্রমাণিত হলেও সর্বোচ্চ তিন বছর জেল হতে পারে এক নাবালকের।
২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণের পরেই জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট সংশোধন করার দাবি ওঠে। ২০১৫ সালে এই আইন সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়, যদি ১৬-১৮ বছর বয়সি নাবালক কোনও নৃশংস অপরাধ করে, তাহলে তাকে সাবালকের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে বিচার করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়। নাবালকের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা, ঘটনার গুরুত্ব বোঝার বুদ্ধি এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি- এই সকল বিষয় খতিয়ে দেখে তবেই সাবালক হিসাবে বিচার করা যাবে অভিযুক্ত নাবালককে।