সৈকত মাইতি, তমলুক: জল্পনার মাঝে বৃহস্পতিবার অবশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন, “আমি বাংলার সন্তান।” তবে শাসকদলকে নিয়ে এদিনও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১ তম জন্মদিনে বৃহস্পতিবার তমলুকের (Tamluk) হাসপাতাল মোড়ে শহিদের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে হেঁটে যান শহিদের স্মৃতি বিজড়িত হ্যামিলটন স্কুলে। সেখানে তিনি জানান, তাম্রলিপ্ত শহরের হ্যামিলটন স্কুলের পড়ুয়া ছিলেন ক্ষুদিরাম। সেই কারণেই মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর স্কুলের মাঠে পদযাত্রা শেষ করার সিদ্ধান্ত। অনুষ্ঠান শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধায়ক। প্রশ্ন করা হয়, তাঁর বর্তমান অবস্থান নিয়ে। তিনি সাফ বলেন, “আমি বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান।” অর্থাৎ এতেই পরিস্কার যে তিনি এখনই রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। বরং তাঁর সাফ কথা, বাংলার সন্তান হিসেবেই মানুষের পাশে, মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন। এদিন গড়বেতা থেকে শুভেন্দু বলেন, “পান্তা খাওয়া মুড়ি খাওয়া ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে, আপনাদের আর্শীবাদ চাই।” এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণের সময় ফের ‘সব বেচে দে’ টি-শার্ট পরে হাজির তৃণমূল কর্মীরা! পালটা দিলেন দিলীপ]
এদিকে, শুভেন্দু-শাসকদলের বৈঠক, হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে গতকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। মেদিনীপুরের দাপুটে নেতার দলত্যাগের জল্পনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতেই মঙ্গলবার তাঁকে নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও পিকে। তৃণমূলের তরফে এই বৈঠককে সফল বলে ঘোষণা করা হলে বুধবারই শুভেন্দু মেসেজে সৌগত রায়কে জানিয়েছিলেন যে, একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার উত্তর পাঠিয়েছেন সৌগত। কিন্তু ঠিক কী লিখেছেন তিনি? তা এখনও অজানা। তবে শাসকদলের তরফে যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধ্যায়ের ইতি টানতে চাইছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে আরও কোনও বৈঠকে বসবেন না তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, এবার যা বলার শুভেন্দুই বলবে।