সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর সময়টা খারাপ যাচ্ছে। ব্যাটে রান আসছে না। ভুলভাল আউট হচ্ছেন। একসময় যার দাপটে বিশ্বক্রিকেটের তাবড় বোলাররা ভয় পেত, চুনোপুঁটিরা এসেও তাঁকে আউট করে দিচ্ছেন। গত কয়েকমাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে শুধুই বিরাট কোহলিকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর সেঞ্চুরি না পাওয়া, খারাপ ফর্ম, তাঁর বিশ্রাম নেওয়া, তাঁর ছুটি কাটানো, সবই যেন হট-টপিক ছিল সর্বত্র। কিন্তু বিরাট কোহলি নিজে এতদিন কার্যত চুপ ছিলেন।
এবার নিজের কেরিয়ারের এই জঘন্যতম সময় নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট (Virat Kohli)। আর শুধু মুখ খুললেন না, একের পর এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন। মেনে নিলেন, রান না পাওয়ার দুঃসহ যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এশিয়া কাপের (Asia Cup) আগে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে টানা একমাস ব্যাট পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখেননি।
[আরও পড়ুন: ‘বলিউডে শুধু স্টার রয়েছে, দক্ষিণেই আসল সিনেমা তৈরি হয়’, বিস্ফোরক অনুপম খের]
এক হাজার দিনেরও বেশি সময় তাঁর ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি আসেনি। স্মরণাতীত কালে কোনও স্মরণীয় ইনিংসও খেলেননি। অথচ, এই খারাপ সময়ের মধ্যেও কোহলির টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেননি কোনও বিশেষজ্ঞ। যতক্ষণ ব্যাট করেছেন, দেখা মনে হয়নি তিনি খারাপ ফর্মে আছেন। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? কেন রান পাচ্ছেন না বিরাট? আসলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সেকারণেই বোর্ডের কাছ থেকে একমাস ছুটি চেয়ে নিয়েছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন,”১০ বছরে এই প্রথমবার আমি একমাস ব্যাট ছুঁয়ে দেখিনি। কিচ্ছু ভাল লাগত না। শরীর বলছিল থামতে। একটু পিছিয়ে যেতে। আমি এমনিতে মানসিক ভাবে খুব শক্ত। কিন্তু সব কিছুর একটা সীমা আছে। সেটা ছাড়িয়ে গেলে খুব খারাপ হয়। তাই কখনও একটু থেমে যেতে হয়।’’
[আরও পড়ুন: গাড়ির মধ্যেই পুলিশ অফিসারের কোলে উঠে সঙ্গমের আবদার তরুণীর! তারপর…]
কোহলি এদিন স্পষ্টই বলে দেন, একের পর এক ব্যর্থতা তাঁকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। তিনি মাঠের মধ্যে যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ধরা দিয়েছেন, সেটা সেটা আসলে আত্মবিশ্বাসী থাকার অভিনয় ছিল। কিং কোহলির স্বীকারোক্তি, “আমরা চাই না কেউ আমাদের দুর্বল ভাবুক। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী থাকার অভিনয় করার থেকে নিজেকে দুর্বল হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া ভাল। স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে আমি মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। এটা স্বাভাবিক ঘটনা।”