সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির রুদ্ররোষে ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ওয়ানড়ে ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত মৃত ২৯৫ জন। বৃহস্পতিবারই ধস-বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর সেখানেই আবেগপ্রবণ হলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ''আজ আমার সেই অনুভূতি হচ্ছে, যেটা বাবা মারা যাওয়ার সময় হয়েছিল।''
কংগ্রেসের (Congress) দুই শীর্ষ নেতা ক্ষতিগ্রস্ত চুরালমালা গ্রামে যান। বিপর্যয়ে ওয়ানড়ের যে চারটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি চুরালমালা। সেখানে পৌঁছে দু’জনেই বিপর্যস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। পায়ে হেঁটে পর্যবেক্ষণ করেন গোটা গ্রাম। ঘুরে দেখেন ত্রাণশিবির। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাহুল বলেন, ''বাবার মৃত্যুতে আমি যেমন অনুভব করেছি, আজ আমি ঠিক তেমনই অনুভব করছি। এখানে মানুষ শুধু একজন বাবাকে নয়, পুরো পরিবারকে হারিয়েছে। পুরো দেশের মনোযোগ বর্তমানে ওয়ানড়ের দিকে।'' সেই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, ''আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। বহু মানুষ তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই পরিস্থিতিতে মানুষের সঙ্গে কথা বলা খুব কঠিন। কারণ আপনি সত্যিই জানেন না তাঁদের কী বলতে হবে।''
[আরও পড়ুন: টিকিট চেকার থেকে অলিম্পিকে পদক, ধোনির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সাফল্য স্বপ্নিলের]
প্রসঙ্গত, ওয়ানড়ে বিপর্যয়ের (Wayanad Landslide) পরদিন অর্থাৎ বুধবারই ওয়ানড়ে যাবেন বলে মনস্থ করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য যাওয়ার অনুমতি পাননি। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী বার্তা দেন, খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁদের পক্ষে ওয়ানড় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই তিনি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়ানড়বাসীর দুঃখ ভাগ করে নিতে হাজির হবেন। বুধবার কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবারই রাহুলরা যাবেন ওয়ানড়ে। সেইমতো বৃহস্পতিবারই ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে পৌঁছে যান তাঁরা।