সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েক আগেও কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ ছিল। দলে সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রভৃতি প্রভৃতি। কিন্তু বিবাদ মিটিয়ে দলে ফিরতেই সেসব যেন হাওয়া হয়ে গেল। বিরোধ ভুলে ফের আনুগত্যের সুর শোনা গেল রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) গলায়। বললেন, “যারা নিজের তাঁরা নিজেরই হয়। গত দু’দশকে কংগ্রেস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি আজ খুব সন্তুষ্ট। আর পদের লোভ কোনওদিনই করিনি। আমার মনে হয়েছিল, দলের অন্দরে কিছু প্রশ্ন ওঠা উচিত, সেই প্রশ্ন তুলেছি শুধু।”
‘দু’দশকে কংগ্রেস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইলটের মুখের এই কথাটি আসলে রাহুল গান্ধী তথা গান্ধী পরিবারের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। শচীন বুঝে গিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে তাঁকে কংগ্রেসেই থাকতে হবে। এবং কিছুদিনের জন্য হলেও গেহলটের বশ্যতা স্বীকার করে নিতে হবে। হ্যাঁ কদিন আগে গেহলট তাঁকে নিষ্কর্মা বলেছিলেন ঠিকই। কিন্তু রাজনীতিতে ওসব মনে রাখলে চলে না। সম্ভবত সেকারণেই তাঁকে বলতে শোনা গেল,”অশোক গেহলট আমার সিনিয়র। ওঁর সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। এটা আমার জন্য নতুন কিছু নয়। হ্যাঁ ওই কথাটাই আমি কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চায় না। আমি কংগ্রেসে ছিলাম, কংগ্রেসে আছি। আর কংগ্রেসের তথা রাজস্থানের মানুষের জন্য কাজ করব। এটা আমার কোনও ঘর ওয়াপসি নয়।”
[আরও পড়ুন: স্যুট-বুট আর লুটের সরকার কি গরিবের কষ্ট বুঝবে? বেকারত্ব নিয়ে তোপ রাহুলের]
কিন্তু যাকে নিয়ে এত বিবাদ, যার জন্য খোদ প্রদেশ সভাপতি বিবাগী, দুদিন আগে পর্যন্ত যিনি নিজের প্রাক্তন ডেপুটিকে যা নয়, তাই বলছিলেন, সেই অশোক গেহলট (Ashok Gehlot ) কী বলছেন? তাঁর সাফ কথা, দল যখন ক্ষমা করে দিয়েছে, তখন আমিও সবার সঙ্গেই কাজ করতে চায়। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটাই আমার কর্তব্য। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এবার সব দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে চাইলেন। বললেন, “বিজেপি (BJP) আমাদের বিধায়কদের ভয়, লোভ দেখিয়ে ভাঙানোর চেষ্টা করেছিল। একজন বিধায়ককেও নিয়ে যেতে পারেনি। এতেই আমি খুশি।” গেহলটের দাবি,”বিজেপির সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। তাই মঙ্গলবার রাজস্থান বিজেপির যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, সেটাই বাতিল হয়ে গেছে।”
The post ‘২০ বছরে কংগ্রেস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে’, ফের আনুগত্যের সুর পাইলটের গলায় appeared first on Sangbad Pratidin.