দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রাতে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল নাবালক। আচমকা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গভীর জঙ্গলে। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মইপীঠ কোস্টাল থানা এলাকার ওই কিশোর। যদিও সারা শরীরে স্পষ্ট আঁচড়ের দাগ। আতঙ্কে কাঁটা পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের নাম রাহুল হালদার। বয়স ১৬ বছর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মইপীঠ কোস্টাল থানা এলাকার পূর্ব দেবীপুর নকুল মোড়ের বাসিন্দা সে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির কাছেই নদীর ধারে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল রাহুল। ভাবতে পারেনি কী ভয়ংকর বিপদ অপেক্ষা করছে। আচমকা পিছন থেকে রাহুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে জঙ্গলে। এদিকে আর্তনাদ শুরু করে কিশোর। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছে সে। তবে সারা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাহুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় এধরনের ঘটনা নতুন নয়। বনদপ্তরের নিষেধ সত্ত্বেও পেটের টানে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়ে বহু মৎস্যজীবী বাঘের মুখে পড়েছেন। কেউ বেঁচে ফিরেছেন। মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। গতকাল, বৃহস্পতিবার সকালেও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে ফের হামলা বাঘের।