স্টাফ রিপোর্টার: আজ কল্যাণীতে ডুরান্ড ফাইনালের বদলা? এ ব্যাপারে গোকুলাম এফসির কোচ ফার্নান্দো সান্তিয়াগো ভালেরা এবং মোহনবাগানের কিবু ভিকুনা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। দু’জনেই মনে করছেন, ইতিহাসে ডুবে লাভ নেই। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আই লিগ নতুন প্রতিযোগিতা। নতুন লড়াই। কিছুটা হলেও তো নতুন দল।
কিবু ভিকুনা বললেন, “ডুরান্ডের পর আমাদের দু’দলের বেশ কিছু ফুটবলারের বদল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, তখন তিনজন বিদেশি নিয়ে খেলেছি। এখন পাঁচজনে খেলছি। তাই ডুরান্ড ফাইনালের সঙ্গে আই লিগের ম্যাচকে মেলালে ভুল হবে।” গোকুলাম মানে অনেকে মনে করছেন, মোহনবাগানের ম্যাচটা আসলে ত্রিনিদাদ টোবাগো স্ট্রাইকার মার্কাসের বিরুদ্ধে। ডুরান্ডে যিনি একাই শেষ করে দিয়েছিলেন মোহনবাগানকে।
[আরও পড়ুন: আজ ট্রাউয়ের কোচের আসনে নেই ডগলাস, কোলাডোকে ছাড়াই জিততে প্রস্তুত ইস্টবেঙ্গল]
ডুরান্ডে যখন মার্কাস বিপক্ষ দলগুলিকে নাস্তানুবাদ করেছেন, তখন মোহনবাগানের ত্রিনিদাদ টোবাগোর ফুটবলার ড্যানিয়েল সাইরাসের সই হয়নি। বলা যেতে পারে, এবার লড়াইটা ত্রিনিদাদ ভার্সেস ত্রিনিদাদ। রবিবার জন্মদিন ছিল ড্যানিয়েল সাইরাসের। কিবুর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনেও এসেছিলেন। পরে বলছিলেন, কোথায় শক্তির জায়গা মার্কাসের। “মার্কাস বাঁ পায়ে মূলত ড্রিবল করে। কেউ যদি ওর বাঁ পা মার্ক করতে যায়, তাহলে ডান পায়ে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। ত্রিনিদাদ টোবাগোর জাতীয় দলে ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ভাল ফুটবলার।” তাহলে উপায়? অনেকটা ‘ম্যায় হু না’–র ঢংয়ে বললেন, “এবার আমি আছি তো।” পারবেন মার্কাসকে আটকাতে? ড্যানিয়েল পাল্টা হুঙ্কার ছাড়ালেন, “শুধু মার্কাস কেন, যে কোনও ফুটবলারকে আটকানোর ক্ষমতা রাখি।”
জন্মদিন থাকলেও ড্যানিয়েল জানালেন, ও সব নিয়ে হৈচৈ করতে চান না। সব জমিয়ে রাখছেন গোকুলাম ম্যাচের জন্য। ম্যাচ জিতে সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দ করবেন। গোকুলাম কোচ ফার্নান্দো সান্তিয়াগো ভালেরা বার্সেলোনায় থাকলে কি হবে, আসলে তিনি আর্জেন্টাইন। যুবভারতীতে এসে যখন শুনলেন, কলকাতায় রয়েছেন তাঁর প্রিয় ফুটবলার ক্রেসপো, তখন ছুটলেন এসপ্ল্যানেডে। যদি দেখা হয়। তবে সে আশা পূরণ হয়নি। এবারের আই লিগের মোটামুটি সব কোচই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলছেন, আই লিগ জয়ের পথে বড় বাঁধা গোকুলাম এফসি। কথাটা কানে গিয়েছে ভালরারও। বলছিলেন, “সবাই বলছেন বটে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে চার্চিল, চেন্নাইকেও রাখতে হবে।”
গোকুলামে শুধু মার্কাস থাকলেও না হয় হত। গোল করা শুরু করেছেন হেনরি কিসেকাও। বেশি ম্যাচ খেলে পয়েন্টের বিচারে শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দুটো ম্যাচ খেলে দুটোই জিতেছে গোকুলাম। দুটো ম্যাচেই গোল করেছেন হেনরি। কিন্তু মোহনবাগান ম্যাচের আগে কী অবস্থায় মার্কাস? ভালেরা বলছিলেন, “মার্কাসের পারফরম্যান্স গ্রাফ কখনও উপরে, কখনও নীচের। এখন ওর পারফরম্যান্স নিয়ে বলা যায়, মাঝামাঝি জায়গায় আছে। আপনারা শুধু আমাদের কথা বলছেন। কিন্তু মোহনবাগানও তো দারুণ। ওদের বেইতিয়া, গঞ্জালেজ ভাল খেলছে।”
[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে জয়, ডার্বির আগে অক্সিজেন পেল ইস্টবেঙ্গল]
আগেরদিন সরকারিভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে সালভা চামোরোকে। ভিকুনা জানালেন, নতুন যে বিদেশি স্ট্রাইকার নেওয়া হবে, মোটামুটি তা পাকা হওয়ার পথে। কিন্তু তার আগে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে থাকার জন্য সোমবার গোকুলাম ম্যাচটা জেতা জরুরি। বলছিলেন, “ট্রাউ ম্যাচটা ভাল খেলেছি। ভাল খেলাটা গোকুলামের বিরুদ্ধে ধরে রাখতে হবে। মানছি, ওদের দলটা ভাল। ডুরান্ডের ফলাফল সব সময় হবে না। আমরা তৈরি।
কার্ড সমস্যায় গোকুলাম খেলাতে পারবে না ডিফেন্ডার আন্দ্রেকে। আর মোহনবাগানে পরিবর্তন বলতে শুধুই জেসুরাজ। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে জেসুরাজ বসার পরে সাহিল আর গঞ্জালেজ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়। সেকেন্ড স্ট্রাইকার হয়ে যান বেইতিয়া। সোমবার গোকুলামের বিরুদ্ধে এই ছকটাই শুরুতে রাখতে চাইছেন ভিকুনা। প্র্যাকটিস দেখে তাই মনে হল। তার মানে, সুহেরের সঙ্গে শুরু থেকে সেকেন্ড স্ট্রাইকার বেইতিয়া। বাকি দলে বদল নেই।
The post মোহনবাগানের সামনে গোকুলামের কড়া চ্যালেঞ্জ, ভিকুনার ভরসা বেইতিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.