সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম পর্বের মতো আইলিগের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শিলিগুড়িতে।বলতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে ডার্বি৷ কিন্তু ডার্বি শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে। দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে ঢুকে অনুশীলন শুরু করায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছে মোহনবাগান। এআইএফএফ এবং ম্যাচ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। এমনকী, ম্যানেজার্স মিটিংয়েও এই প্রসঙ্গ তোলা হবে বলে খবর। যা পরিস্থিতি, তাতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এমন নিয়মভঙ্গের অপরাধে ইস্টবেঙ্গলকে ৫ থেকে ১০ অথবা সেটা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে৷
ডার্বি মানেই ইস্ট-মোহন ম্যাচের আগে টানটান উত্তেজনা, দুই দলের সমর্থকদের আবেগে ভেসে যাওয়ার মধ্যেও তাই নতুন কিছু নেই৷ কিন্তু আইলিগের ফিরতি পর্বের ডার্বির আগে সেই চেনা পরিবেশটাই যেন বেশ অচেনা হতে শুরু করেছে৷ বিশ্বাস করা কঠিন হলেও এটাই সত্যি, ইস্টবেঙ্গলের ডেরায় মহা ম্যাচ নিয়ে যেন আগ্রহ হারিয়ে বসেছে খোদ লাল-হলুদ সমর্থকরাই৷ না হলে এখানে মোহনবাগান সমর্থকদের এত রমরমার মাঝে বাঙাল সমর্থকরা এমন চুপচাপ থাকবে কেন?
[উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জংকে হত্যার ছক কষছে আমেরিকা]
উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশ কয়েকটা তথ্য সামনে চলে এল৷ মোহনবাগান সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে৷ এএফসি হোক বা অন্য কিছু, সোনি নর্ডি, কাটসুমিরা মাঠে যেন ফুল ফুটিয়েছেন৷ একদম ভিন্ন ছবি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে৷ সেই ফুরফুরে মেজাজটাই যেন রাতারাতি ভ্যানিশের খাতায় চলে গিয়েছে৷ অবিনাশ রুইদাস হোক বা কোচ মরগ্যান৷ সবার মুখ যেন কেমন থমথমে৷ ডার্বির আগে প্রবল চাপে থাকার ব্যাপারটা যেন তাঁদের শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট৷ চেন্নাই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট নষ্ট করার পর থেকেই ইস্টবেঙ্গলে কোচ বনাম কর্তাদের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ ডার্বির ঠিক আগের দিন ব্যাপারটা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে গেল৷ একদিকে মোহনবাগান যখন অনুশীলন করছে, তখন সহ সচিব সৃঞ্জয় বোস তো বটেই, ছিলেন ক্লাবের অন্যান্য কর্তারাও৷ সমর্থকদের তরফ থেকে প্রতিপক্ষকে নিয়ে মজার ছড়া, হুংকার তো ছিলই৷ উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গল শিবির যেন ভাঙা হাঁট৷ সেখানে ক্লাবের কোনও শীর্ষ কর্তাকেই দেখা গেল না৷ যাঁরা ছিলেন, বলার মতো এমন কিছু নয়৷
[কালী ঠাকুরের সামনে মাকে বলি দিল ছেলে]
এদিন মরগ্যান একাই প্র্যাকটিস করালেন৷ কেউ কোনও ভুল ভ্রান্তি করলে বকাঝকা করতেও ছাড়ছিলেন না৷ মিনিট পনেরো পরেই ক্লোজড ডোর অনুশীলন করালেন তিনি৷ তবে বাগান শিবিরে এমন ‘বিশেষ’ অনুশীলনের কোনও ব্যবস্থা অবশ্য ছিল না৷ শিলিগুড়ি এমনিতে ইস্টবেঙ্গলের ডেরা বলেই পরিচিত৷ কিন্তু সেখানে মোহনবাগানের সমর্থকদের রমরমাটাই যেন চোখে পড়ল বেশি৷ যা দেখে আরও বেশি পরিষ্কার, ডার্বিতে ফেভারিটের তকমা নিয়েই নামছে সবুজ-মেরুন শিবির৷ বাগান কোচ সঞ্জয় সেনের কথাতেও যেন আত্মবিশ্বাসের ঝাঁজ৷ বলছিলেন, “এই ম্যাচে সব সম্ভব৷ নিজেদের খেলাটা খেললে কেউ হারাতে পারবে না৷”
[খড়দহে স্বর্ণঋণ সংস্থায় ভয়াবহ ডাকাতি, মহিলা গ্রাহককে গুলি]
সৌজন্যে: অচিন্ত্য রায়
The post ডার্বির আগে কিছুটা হলেও যেন এগিয়ে মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.