স্টাফ রিপোর্টার: টেকনিক্যাল কমিটি আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল। আর সেই প্রস্তাব মতো ইস্টবেঙ্গল-সহ আই লিগের বাকি ক্লাবগুলি ফেডারেশনকে জানায়, সামনের মরশুম থেকেই আই লিগে (I league) বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে। এদিন, টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাব এবং আই লিগের ক্লাবগুলির পরামর্শ মেনে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি জানিয়ে দিল, ২০২০–২১ মরশুম থেকে আই লিগে বিদেশির সংখ্যা কমে গিয়ে চারজন হয়ে যাবে। এএফসির (AFC) নিয়ম মতো, চারজন বিদেশির একজনকে এশিয়ান কোটায় নিতে হবে। তবে খেলাতে হবে চারজনকেই।
এদিন কার্যকরী কমিটির মিটিং থাকলেও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) নিয়ে সামান্য হলেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন ফেডারেশন কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল ঠিক কোথায় খেলতে চাইছে, আইএসএল (ISL) না আই লিগ, সত্যিই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। লাল–হলুদের শীর্ষকর্তা মুখে বলছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আইএসএল খেলার ব্যাপারটি দেখছেন, অথচ তলে তলে আই লিগ খেলার জন্য ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে আই লিগে বিদেশি কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মেটানো হবে বকেয়া বেতন, ফুটবলারদের আশ্বস্ত করল মোহনবাগান]
কিছুদিন আগে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব এবং শীর্ষকর্তা দাবি জানিয়েছেন, সামনের মরশুম থেকে তাঁরা নিশ্চিত ভাবেই আইএসএলে খেলবে। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের সহ-সচিব বলেছেন, আইএসএল একটি মশালা লিগ। সার্কাস। এমনকী সচিব কল্যাণ মজুমদারও চূড়ান্ত কিছু জানেন না ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে। লাল–হলুদ কর্তারা নিজেরাই জানেন না, সামনের মরশুমে কোথায় খেলবেন। অথচ মাঝে মধ্যেই বিবৃতি দিচ্ছেন, আইএসএলে নিশ্চিত ভাবে খেলবেন।
ঠিক এরকম পরিস্থিতির মধ্যেই সামনের মরশুমে আই লিগের বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা ঠিক করার জন্য আই লিগের বাকি ক্লাবগুলির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও ফেডারেশন (AIFF) সচিব কুশল দাস এবং আই লিগের সিইও সুনন্দ ধরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় বসে পড়ে তিনদিন আগে। যেখানে আই লিগের অন্যান্য ক্লাবগুলির মতো ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধিও মতামত দেন, ২০২০–২১ মরশুম থেকে আই লিগের বিদেশি কমিয়ে চারজন করে দিতে।
[আরও পড়ুন: পিকে-চুনী স্মরণে বিশেষ উদ্যোগ আইএফএ’র, লকডাউন উঠলেই হবে প্রদর্শনী ম্যাচ!]
মোহনবাগান (Mohun Bagan) আই লিগে নেই বলে আলোচনায় ডাকা হয়নি। ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, একদিকে আই লিগে বিদেশি কমানোর আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে, আরেকদিকে বলছে, আইএসএল খেলবে। ফলে ফেডারেশন কর্তারাও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, ইস্টবেঙ্গল ঠিক কোন লিগে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কথা উঠছে, ইস্টবেঙ্গল যদি শুধু আইএসএল খেলার কথাই ভাবত, তাহলে আই লিগের মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে কেন বিদেশি কমানোর প্রস্তাব দিল। ফলে বিভ্রান্তি চরমে। এ নিয়ে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বললেন, “ইস্টবেঙ্গলের কেউ বলছেন, আইএসএল খেলতে চান। আবার ক্লাবেরই সহ সচিব বলছেন, আইএসএল সার্কাস। কোথায় খেলতে চায়, ইস্টবেঙ্গল আগে নিজেরা ঠিক করুক। সবাই মিলে বিভ্রান্ত হচ্ছে।’’
এদিন, অনলাইনে কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা ঠিক করা ছাড়া অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে অর্জুন পুরস্কারের জন্য নাম পাঠানো হল সন্দেশ জিঙ্ঘান এবং বালা দেবীর।
The post আগামী মরশুমে আই লিগে কমছে বিদেশি সংখ্যা, সিদ্ধান্ত ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির appeared first on Sangbad Pratidin.